করোনার তীব্রতাকে রোধ করতে লকডাউনে কঠোর বিধি-নিষেধ দিয়েছে সরকার। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ এ সময় কারা বাইরে বেরোতে পারবেন, কারা বেরোতে পারবেন না, এ বিষয়ে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। যারা সম্মুখযোদ্ধা, তাদের ক্ষেত্রে এই বিধিনিষেধ কার্যকর হবে না বলে জানিয়েছিলেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদ। কিন্তু, লকডাউনের প্রথমদিনেই রাজধানী ঘুরে দেখা গেছে, বিভিন্ন জায়গায় চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের আটক করেছে পুলিশ। এমনকি এক চিকিৎসককে তিন হাজার টাকা জরিমানাও করা হয়েছে।
বুধবার (১৪ এপ্রিল) রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালের চিকিৎসক নাজমুল ইসলাম নিজস্ব গাড়িতে করে হাসপাতালে যাওয়ার পথে পুলিশ তাকে আটকে তিন হাজার টাকা জরিমানা করে। পরে তার স্ত্রী বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট দিলে তা নিয়ে প্রচুর সমালোচনা হয়। এক পর্যায়ে গতকাল রাতে নাজমুল ইসলাম সংবাদমাধ্যকে জানান, এক পুলিশ কর্মকর্তা সন্ধ্যার আগে তাকে ফোন করে জরিমানার টাকা ফেরত দেওয়ার কথা জানিয়েছেন। আজ বৃহস্পতিবার কাজ শেষে বাড়ি ফেরার পথে তিনি তা সংগ্রহ করবেন বলেও জানান।
ফাউন্ডেশন ফর ডক্টরস সেফটি রাইটস অ্যান্ড রেসপনসিবিলিটিজ (এফডিআরএস) জানায়, লকডাউনের প্রথমদিনে পুরো রাজধানীতে এ ধরনের বেশকিছু ঘটনা ঘটেছে কাল। এফডিআরএস’র এক কর্মকর্তা এ সম্পর্কে সংবাদমাধ্যমকে বলেন, সরকারের দেওয়া প্রজ্ঞাপনে চিকিৎসা সেবায় নিয়োজিত ব্যক্তিদের লকডাউনের আওতামুক্ত রাখা হয়েছে। কিন্তু পরিচয়পত্র দেখানো সত্ত্বেও পুলিশ যদি পথে আটক করে হয়রানি করে, তাহলে তা খুবই দুঃখজনক।
এদিকে, পুলিশ সদর দপ্তর সূত্র থেকে জানা যায়, যেসব চিকিৎসকরা তাদের পরিচয়পত্র দেখাচ্ছেন, তাদের বেশিরভাগকে সমস্যায় পড়তে হয়নি। অল্প কয়েকজন সমস্যায় পড়েছেন বলেও এ সূত্র জানায়।