বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপটি আরো শক্তিশালী হয়ে উঠেছে। ক্রমেই আরো শক্তি সঞ্চার করে আগামীকাল বুধবার (১০ মে) নাগাদ ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’য় রূপ নিতে পারে। এ তথ্য দিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা।
গতকাল সোমবার (৮ মে) দিবাগত মধ্য রাতে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদফতর জানিয়েছে, দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন দক্ষিণ আন্দামান সাগর এলাকায় অবস্থানরত লঘুচাপটি ঘণীভূত হয়ে একই এলাকায় সুস্পষ্ট লঘুচাপে পরিণত হয়েছে। এটি আরো ঘণীভূত হতে পারে।
বাংলাদেশে মোখার প্রভাব বেশি হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন কানাডার সাসকাচোয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের আবহাওয়া ও জলবায়ু বিষয়ক পিএইচডি গবেষক মোস্তফা কামাল পলাশ।
তার মতে, আগামী ১৪ মে সকাল ৬টার পর থেকে ২৪ ঘণ্টার মাঝে ১৮০ থেকে ২০০ কিলোমিটার বেগে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ও মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের মংডু জেলার স্থলভাগে আঘাত হানতে পারে মোখা।
তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে অবশ্য এও বলেন, স্থল ভাগে আঘাতের স্থানটি নিয়ে এখনো সামান্য পরিমাণ অনিশ্চয়তা রয়ে গেছে। ঘূর্ণিঝড়টি মিয়ানমারের দিকে কিংবা বরিশাল বিভাগের দিকে সামান্য পরিমাণ ঝুঁকে পড়তেও পারে। অর্থাৎ, চট্টগ্রাম ও নোয়াখালী জেলার ওপর দিয়ে অতিক্রম করার কিছু আশঙ্কা রয়েছে।
এদিকে ভারতের আবহাওয়া অধিদফতর জানিয়েছে, আজ মঙ্গলবারের (৯ মে) মধ্যে লঘুচাপটি নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে। আগামীকালের মধ্যে দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর ও পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগর এবং আন্দামান সাগর সংলগ্ন এলাকায় ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে। ১১ মে নাগাদ উত্তর ও উত্তর-পশ্চিম দিকে এগিয়ে পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগরে পৌঁছাতে পারে। এরপর ধীরে ধীরে বাঁক নিয়ে উত্তর ও উত্তর-পূর্ব দিকে বাংলাদেশ-মিয়ানমার উপকূলের দিকে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।