fbpx

লোকসানে থাকা পাটকল চালু না করার পরামর্শ

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

লোকসানে থাকা পাটকল চালু না করার পরামর্শ দিয়েছে সংসদীয় কমিটি। সংসদের অনুমিত হিসাব সম্পর্কিত কমিটি বলেছে, এসব পাটকল চালু করে সরকারের অর্থ অপচয়ের যৌক্তিকতা নেই।

গতকাল সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত অনুমিত হিসাব সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির বৈঠকের আলোচনায় এসব বিষয় উঠে এসেছে। বৈঠকে বস্ত্র ও পাট প্রকল্প এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন প্রকল্প নিয়ে আলোচনা হয়।

কমিটির সভাপতি উপাধ্যক্ষ মো. আব্দুস শহীদের সভাপতিত্বে বৈঠকে কমিটির সদস্য নূর-ই-আলম চৌধুরী, ইউসুফ আব্দুল্লাহ হারুন, এবি তাজুল ইসলাম, আহসান আদেলুর রহমান, ওয়াসিকা আয়শা খান ও খাদিজাতুল আনোয়ার অংশগ্রহণ করেন।

বৈঠক শেষে কমিটির সভাপতি উপাধ্যক্ষ মো. আব্দুস শহীদের বৈঠকের বিষয়ে জানতে চাইলে সভাপতি আব্দুস শহীদ সাংবাদিকদের বলেন, তিনটি জুট মিল উন্নয়নে প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছিল। কিন্তু সরকার সেই মিলগুলো বন্ধ করে দিয়েছে। নতুন করে সরকারিভাবে পাটকল চালু হবে কি হবে না এ নিয়ে অনেক প্রশ্ন এসেছে। আমরা বলেছি, এগুলো চালু হবে কিনা সেটা সরকারের সিদ্ধান্তের বিষয়। তবে আমরা মনে করি, যেগুলো লাভজনক নয় তা চালু করে সরকারের অর্থ অপচয় করার কোনো যৌক্তিকতা নেই।

কমিটির সভাপতি বলেন, ছোট ছোট হলেও কিছু প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে ফিজিবিলিটি স্টাডি না করে। আমাদেরও মনে হয়েছে এগুলো জনস্বার্থে কার্যকর হবে না। কিছু প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হলেও বাস্তবায়ন ৫ শতাংশও হয়নি। মন্ত্রণালয়ও তাদের পক্ষে যুক্তি দেখিয়েছে।

তিনি বলেন, বৈঠকে প্রকল্প কাজের বাস্তবায়ন নিয়ে আমরা রিওয়ার্ড ও পানিশমেন্টের সুপারিশ করেছি। কেউ দোষ করলে তাকে শাস্তির আওতায় আনতে আবার কেউ ভালো কাজ করলে তাকে পুরস্কৃত করার কথা সংসদীয় কমিটির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে।

বৈঠকে মুজিবকেল্লার নির্মাণকাজে কম অগ্রগতির বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। কমিটির সভাপতি বলেন, এ প্রকল্পের বাস্তব অগ্রগতি কাঙ্ক্ষিত নয়। অবশ্য বাস্তব কিছু সমস্যাও ছিল। বুয়েট যে রিপোর্ট দিয়েছিল তা সঠিক ছিল না। পরে ডুয়েট থেকে সেটা সঠিকভাবে করা হয়েছে। প্রকৌশলীরা একেকজন একেকভাবে রিপোর্ট দিলে বাস্তবায়ন কর্তৃপক্ষের তো সমস্যা হবেই। আমরা ভবিষ্যতে যুক্তিপূর্ণ উপায় বাস্তবায়নের পদক্ষেপ নিতে বলেছি।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা প্রকল্পের গ্রামীণ সড়কে ব্রিজ-কালভার্ট নির্মাণে চলমান প্রকল্পের প্রসঙ্গ টেনে শহীদ বলেন, প্রকল্পে ১৫ মিটার অর্থাৎ ৪৫ ফুট ব্রিজ নির্মাণের কথা বলা হয়েছে। কিন্তু যে জায়গায় ব্রিজ হচ্ছে সেখানকার রাস্তা আছে ছয় ফুট। রাস্তার সঙ্গে সামঞ্জস্য হচ্ছে না। এজন্য আমরা পরিসংখ্যান ব্যুরোর সহযোগিতা নিয়ে একটি কারিগরি রিপোর্ট করে দুই মাসের মধ্যে কমিটিতে পাঠাতে বলেছি।

কমিটি দুর্যোগ মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় পর্যায়ের কর্মকর্তাদের যানবাহন দেয়ার সুপারিশ করেছে উল্লেখ করে সভাপতি বলেন, এসিল্যান্ড, ইউএনও, কৃষি কর্মকর্তারা গাড়ি পেলে তারা পাবেন না কেন? তারা তো সারা দিনই কাজ করেন।

এদিকে সংসদ সচিবালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়—বৈঠকে সরকারিভাবে পরিচালিত টেক্সটাইল মিল পরিচালনার বিষয়ে সতর্কতা অবলম্বনের নির্দেশনা দেয়া হয়। এছাড়া দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের তাঁত শিল্পের উন্নয়ন আশানুরূপ না হওয়ায় আরো যত্নবান হওয়ার সুপারিশ করা হয়। চলমান প্রকল্পের কাজ শুরুর আগে গুরুত্ব বিবেচনা করে সঠিক কর্মপরিকল্পনা তৈরির পরামর্শ দেয়া হয়। দুর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের কার্যক্রম সরাসরি জনগণের সঙ্গে সম্পৃক্ত হওয়ায় পরিবেশ বিপর্যয়ের বিষয়ে আরো সজাগ থাকার সুপারিশ করা হয়।

Advertisement
Share.

Leave A Reply