fbpx

শনিবার ঢাকায় আসছেন চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী, আলোচনা হবে বিভিন্ন বিষয়ে

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই-এর ঢাকা সফরে ভবিষ্যতে দু’দেশের কী সম্পর্ক হবে সেটি নিয়ে আলোচনা হবে। দুদিনের সফরে শনিবার (৬ আগস্ট) সকালে ঢাকায় আসবেন চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী। ৭ আগস্টে তিনি ঢাকা ত্যাগ করবেন। সফরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক ও সৌজন্য সাক্ষাতের কথা রয়েছে চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রীর। এছাড়া সফরে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত একটি সমঝোতা স্মারকসহ আরও কয়েকটি দলিল সই হতে পারে।

বৃহস্পতিবার (৪ আগস্ট) নিজ দফতরে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক অনেক গভীর। এবারের সফরে বেশ কয়েকটি সমঝোতা স্মারক এবং পুরনো চুক্তি নবায়ন হতে পারে।

চুক্তি বা সমঝোতা স্মারক বাংলাদেশের অর্থনীতির সঙ্গে জড়িত জানিয়ে শাহরিয়ার আলম বলেন, এর সংখ্যা পাঁচটি বা সাতটি হতে পারে। চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী কি বার্তা নিয়ে আসছেন জানতে চাইলে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘সেটা তিনি বলতে পারবেন।’

চীনের বৈশ্বিক উদ্যোগ

চীনের একাধিক বৈশ্বিক উদ্যোগ আছে এবং ওই উদ্যোগে বাংলাদেশসহ আরও বন্ধু দেশগুলোকে পাশে চায় বেইজিং। এ বিষয়ে আলোচনা হবে কি-না, জানতে চাইলে শাহরিয়ার আলম বলেন, ‘চীন তাদের বৈশ্বিক উদ্যোগ নিয়ে আলোচনা করতে চাইলে তখন কথা হবে।’

ইন্দো-প্যাসিফিক ভিশন বা অন্য জোটের বিষয়ে চীনের অবস্থান জানতে চাইলে তিনি বলেন, অন্য বলয়ের সঙ্গে কী করবো সেটি আমাদের বিষয়। আশা করি অন্য কোনও দেশে এ বিষয়ে আমাদের কোনও পরামর্শ দেবে না।

পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, তবে চীন বাংলাদেশের বন্ধুরাষ্ট্র, তাদের অনেক পরিকল্পনার সঙ্গে বাংলাদেশ জড়িত।

তাইওয়ান সংকট

প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ সবসময় এক-চীন নীতিতে বিশ্বাস করে এবং আমরা চাই তাইওয়ান পরিস্থিতি যেন খারাপ না হয়। বিশ্ব এখন যথেষ্ট খারাপ সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। সকল পক্ষ যেন সংযত থাকে। জাতিসংঘ সনদ মেনে চলে। বর্তমান বিশ্বে আরেকটা সংকট কারও জন্য ভালো হবে না।

রোহিঙ্গা সংকট

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে চীনের ভূমিকা আরও জোরালো করার আহ্বান জানাবে বাংলাদেশ। শাহরিয়ার আলম বলেন, এটি আমাদের অগ্রাধিকারমূলক বিষয় এবং আমরা এটি জোরালোভাবে তুলবো।

তিনি বলেন, আসিয়ান মন্ত্রীদের বৈঠকে মিয়ানমারের প্রতি একটি শক্ত বার্তা দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী যখন ঢাকা সফর করবেন তার দুই সপ্তাহ আগে ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অফ জাস্টিস তাদের প্রাথমিক সিদ্ধান্তে বলেছে, এই মামলা পরিচালনা করার অধিকার তাদের আছে এবং এই মামলার প্রক্রিয়া চলমান থাকবে।

তিনি বলেন, আমরা অবশ্যই তাকে জোরালো একটি বার্তা দেবো, আরও জোরালো ভূমিকা রাখার আহ্বান জানাবো যাতে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন করা সম্ভব হয়।

Advertisement
Share.

Leave A Reply