ছোট পর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী শবনম ফারিয়া সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সবসময়ই সরব। নিজের ছোট ছোট অনুভূতি তিনি শেয়ার করেন এখানে। এ নিয়ে অবশ্য তাকে মাঝে মাঝেই বিড়ম্বনার স্বীকার হতে হয়।
এমন বেশ কয়েকবার হয়েছে তিনি খুব সহজভাবে কিছু একটা পোস্ট করেছেন, সেটাকে জটিল করে প্রকাশ করা হয়ে, তৈরি করা হয়েছে ভিন্ন মানে।
২৫ এপ্রিল এই অভিনেত্রী নিজের একটি অনুভূতি শেয়ার করেছেন তার ফেসবুক ওয়ালে। দেশে কত কত সমস্যা, তারপরও দেশ ছেড়ে যেতে চান না তিনি। আবার দেশ না ছাড়ার আক্ষেপও তার লেখায় প্রকাশিত।
ফারিয়া পোস্টে লেখেন, ‘আমার সব বন্ধু বান্ধবই বিদেশ। সব মানে সব। যারা পারমানেন্টলি বিদেশ চলে গেছে , তাদের আমি অনেক বুলি করতাম। বেইমান ডাকতাম। বলতাম, দেশের টাকায় পড়ে এখন বিদেশে মেধা পাচার করছে। ইনফ্যাক্ট যারা বিদেশে পড়াশুনা করে ভাল রেজাল্ট করার পরেও দেশে ফেরত এসেছে, তাদের প্রতি আমার আলাদা শ্রদ্ধা কাজ করে। কিন্তু যতদিন যাচ্ছে কেন জানি হতাশ হয়ে যাচ্ছি। এখন মনে হয় , আমি বোকা দেখেই দেশ নিয়ে এতো ফেসিনেটেড। বরং আমার সব বন্ধুরা বুদ্ধিমান। ওরা চেরিব্লসমের সামনে ছবি দেয়, আমি গরমে ঘামতে ঘামতে জ্যামে বসে সেই ছবি দেখি। ওরা যেই দামে মারসেটিজ কিনে চালায়, ঐ দামে আমি এখানে করলা এক্স কিনে চালাতে পারি না। বিদেশ ঘুরতে গেলে মনে হয় , ৫০ডলারে কত কিছু খেলাম। অথচ ঢাকায় ৫ হাজার টাকায় মোটামুটি ভাল কোথাও দুইজন খেলে পেট ভরে না।’
তিনি আক্ষেপ করে আরও লিখেছেন ‘ঘুরতে যাবো দেশের মধ্যে, কক্সবাজারে একটু ভাল হোটেলের ভাড়াই শুরু হয় ১২ হাজার থেকে, এই একই মানের হোটেল নেপালেও ৩/৪ হাজার টাকা।’
ফারিয়া শেষে এভাবেই ইতি টেনেছেন, ‘আমার বাবা পেশায় চিকিৎসক হলেও, সরকারি কর্মকর্তা ছিলেন স্বাস্থ ও পরিবার পরিকল্পনা বিভাগে, জীবনের ৩০ বছরের বেশি সময় তিনি এই দেশের জন্য কাজ করেছেন। আমিও তার দেখানো পথেই থাকতে চাই। এই দেশেই থাকতে চাই। এই দেশের বাইরে কোথাও আমি ৭ দিনের বেশি থেকে শান্তি পাই না। কিন্তু এই হতাশাও ভাল লাগে না।’