fbpx

শিক্ষাক্রম সংস্কার আন্দোলনকারীদের বেশিরভাগই কোচিং বাণিজ্যে জড়িত: শিক্ষামন্ত্রী

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

নতুন শিক্ষাক্রম সংস্কার বা বাতিলের দাবিতে যারা আজকে আন্দোলন করছে তাদের বেশিরভাগই কোচিং বাণিজ্যের সঙ্গে জড়িত। তারা যে দাবিগুলো করছেন তা একেবারেই যৌক্তিক নয় বলে মন্তব্য করেছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।

 

 

শুক্রবার (১০ নভেম্বর) দুপুরে চাঁদপুর সার্কিট হাউসে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন ।

 

 

মন্ত্রী বলেন, ‘২০১৭-১৮ সালে অনেক গবেষণার পর ২০১৯ সালে সিদ্ধান্তের ফল আজকের এই শিক্ষাক্রম। এটি পুরোপুরি বাস্তবায়ন হবে ২০২৭ সাল পর্যন্ত। কাজেই একটা দীর্ঘ সময় নিয়ে অসংখ্য বিশেষজ্ঞের কাজের মধ্য দিয়ে আমরা এই জায়গাতে এসেছি। এই শিক্ষাক্রম মাননীয় প্রধানমন্ত্রী পর্যন্ত অনুমোদন দিয়েছেন। কাজেই এটি নিয়ে যারা আজকে তথাকথিত আন্দোলন করছে তাদের বেশিরভাগই কোচিং ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। কেউ কেউ নোট গাইড যারা একেবারে স্কুল পর্যায়ে গিয়ে কমিশনের বিনিময়ে বিক্রি করে সেগুলোর সঙ্গে জড়িত। দুঃখজনক হলেও সত্যি এতে কোনও কোনও শিক্ষকও জড়িত। যারা কোচিং করেন, নোট গাইডের ব্যবসার সঙ্গে জড়িয়ে গেছেন তারা জড়িত। কিন্তু তারা যে দাবিগুলো করছেন সেগুলো কিন্তু একেবারেই যৌক্তিক নয়।’

 

 

 

তিনি আরও বলেন, আমাদের নতুন শিক্ষাব্যবস্থা একেবারে রূপান্তর। এক সময় আমরা সকলে একটা মুখস্থ বিদ্যা জগত পার হয়ে আসছি। আমাদের সময়ে ১০,১২,১৫ বছরের বিরতিতে এক একটা নতুন প্রযুক্তি আসতো। এখন ১০-১৫ মিনিটে নতুন নতুন প্রযুক্তি আসছে। এখন কিন্তু আমাদের শিক্ষার্থীরা যে জগতে বড় হবে সেখানে তাদেরকে প্রতিদিন প্রতি মুহূর্তে নতুন নতুন প্রযুক্তির সঙ্গে খাপ খাইয়ে এবং তারপর নিজেকে নেতৃত্বের জায়গায় নিয়ে এসে সেই জগতে টিকে থাকতে হবে। ভালো করতে হবে। আমরা কি সারাজীবন পিছিয়ে থাকবো? নিশ্চয়ই না। আমরা ২০৪১ সালে একটা উন্নত জীবনের স্বপ্ন দেখছি। সেই স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে হলে, চতুর্থ শিল্পবিপ্লব, পঞ্চম শিল্পবিপ্লব বা আধুনিক বিশ্বে বাঁচতে হলে আমাদেরকে একেবারে ওই মুখস্থ বিদ্যা পরিহার করতে হবে। আমাদের জেনে, বুঝে, অভিজ্ঞতাভিত্তিক শিখনের মধ্যে দিয়ে ক্রমাগত শিখতে হবে। দক্ষতা অর্জন করতে হবে। এখন পৃথিবীতে মূল জিনিস হচ্ছে দক্ষতা। সেই কারণে নতুন এই শিক্ষাক্রম রূপান্তর।

 

এ সময় উপস্থিত ছিলেন চাঁদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদ্য পদোন্নতিপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার) সুদীপ্ত রায়, চাঁদপুর সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আইয়ুব আলী বেপারীসহ প্রশাসনিক কর্মকর্তা, স্থানীয় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ নেতৃবৃন্দ।

Advertisement
Share.

Leave A Reply