fbpx

শিক্ষার্থীদের পদচারণায় মুখোরিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণ কমে আসায় আজ ২২ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার থেকে বিধিনিষেধ তুলে দিয়েছে সরকার।

কিন্তু সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। মাস্ক ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। এছাড়া আজ থেকে থেকে ফের স্কুল-কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় খুলেছে। তবে কেবল করোনা টিকার দুটি ডোজ নেয়া ছাত্র-ছাত্রীদের ক্লাসে উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে।

স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালনের শর্তে ১ মার্চ থেকে খুলছে প্রাথমিক বিদ্যালয়ও। গত রোববার মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

গত বছরের নভেম্বর থেকে দ্রুত ছড়িয়ে পড়া ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের ফলে বিশ্বজুড়ে উদ্বেগ সৃষ্টির পর ডিসেম্বরের মাঝামাঝি থেকে বাংলাদেশেও করোনার সংক্রমণ আবার বাড়তে থাকে। সংক্রমণে রাশ টানতে নতুন বছরের শুরুতেই ৪ জানুয়ারি ১৫ দফা নির্দেশনা জারি করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এতে সব ধরনের সামাজিক, রাজনৈতিক ও ধর্মীয় অনুষ্ঠানে জনসমাগমে নিরুৎসাহিত করা হয়।

গত ১৩ জানুয়ারি দেশে করোনার সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় উন্মুক্ত স্থানে সব ধরনের জনসমাবেশ নিষেধ, রেস্তোরাঁয় বসে খাবার গ্রহণে টিকার সনদের বাধ্যবাধকতা, অর্ধেক যাত্রী নিয়ে গণপরিবহন চলাচল এবং টিকা সনদ নিয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রবেশের বাধ্যবাধকতাসহ ১১টি বিধিনিষেধ জারি করে সরকার।

২০২০ সালে বাংলাদেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণের শুরু হলে মার্চের শেষ দিকে দেশজুড়ে লকডাউন জারি করা হয়, যা দুই মাসের বেশি সময় ধরে চলে। সেই লকডাউনে জরুরি সেবার পরিবহন এবং জরুরি প্রয়োজন ছাড়া যে কারো চলাচল ছিল বারণ। সব অফিস আদালতের পাশাপাশি কল কারখানাও বন্ধ করে দেয়া হয়েছিল।

পরিস্থিতির উন্নতিতে পরে সেই বিধিনিষেধ শিথিল হয়। ডেল্টা সংক্রমণের পর গত বছরের এপ্রিল থেকে আগস্ট অবধি বিভিন্ন সময় লকডাউনের বিধিনিষেধ ছিল। বন্ধ ছিল স্কুল ও কলেজ। এরপর সংক্রমণের হার দ্রুত কমে এলে গত বছরের সেপ্টেম্বরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলে; জীবনযাত্রা অনেকটাই স্বাভাবিক হয়ে আসে।

Advertisement
Share.

Leave A Reply