নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে শীতলক্ষ্যা নদী থেকে ফারদিন নূর পরশ (২৪) নামের বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) এক শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। সোমবার বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে মরদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়।
নারায়ণগঞ্জ সদর নৌ-থানার ওসি মো. মনিরুজ্জামান বলেন, “স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে শীতলক্ষ্যা নদীতে ভাসমান অবস্থায় বনানী ঘাট থেকে ওই তরুণের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। খোঁজ করে জানা যায়, নিহত তরুণ বুয়েটের ছাত্র ছিল। গত শুক্রবার রাত থেকে সে নিখোঁজ ছিল। এই ঘটনায় রামপুরা থানায় জিডিও হয়েছে।”
তিনি জানান, সন্ধ্যায় স্বজনরা মরদেহ শনাক্ত করেছেন। এরপর ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এই ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
ফারদিন নূর পরশ বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র ছিলেন। ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিবেটিং ক্লাবেরও যুগ্ম সম্পাদক। ফারদিন পরিবারের সঙ্গে ডেমরার কোনাপাড়া এলাকায় থাকতেন। তিন ভাইয়ের মধ্যে তিনি সবার বড় ছিলেন। শুক্রবার রাত সাড়ে ১১টার পর থেকে ফারদিনের মোবাইল ফোন বন্ধ ছিল। তার সর্বশেষ লোকেশন ছিল রামপুরা থানা এলাকায়। এ ঘটনায় গত শনিবার ওই থানায় একটি সাধারণ ডায়েরিও করা হয়।
গত শুক্রবার রাত থেকে তিনি নিখোঁজ ছিলেন বলে জানান তার বাবা নূরউদ্দিন রানা। সোমবার সন্ধ্যায় নারায়ণগঞ্জ সদর নৌ-পুলিশের ফোন পেয়ে সেখানে গিয়ে ফারদিনের লাশ শনাক্ত করেন।
ফারদিনের বাবা নূরউদ্দিনের সহকর্মী নাবিন চৌধুরী বলেন, ‘শুক্রবার রাতে সর্বশেষ এক বান্ধবীর সঙ্গে ছিল ফারদিন। ওই বান্ধবীর ভাষ্যমতে, বিকেলে রাজধানীর সায়েন্স ল্যাবরেটরিতে আসে ফারদিন। সেখান থেকে বান্ধবীসহ ধানমন্ডির একটি রেস্টুরেন্টে খাওয়া দাওয়া করে। সেখান থেকে টিএসটিতে যায়। কিছু সময় কাটিয়ে রামপুরায় বিটিভির সামনে পর্যন্ত বান্ধবীকে এগিয়ে দেয়। এরপর ওই বান্ধবী আর ফারদিনের খবর পায়নি।’
তিনি আরও বলেন, ‘রামপুরা থানায় জিডি করার পর পুলিশ ফারদিনের মোবাইল ট্র্যাকিং করে কেরানীগঞ্জ ও ডেমরার লোকেশন পায়। দুই জায়গাতেই খোঁজ করে তাকে পাওয়া যায়নি। সর্বশেষ আজ (গতকাল) সন্ধ্যায় নৌ-পুলিশের ফোন পেলাম।’
সিদ্ধিরগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) হাফিজুর রহমান বলেন, মরদেহটি নৌ পুলিশ উদ্ধার করেছে। তবে এই বিষয়ে মামলা হবে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায়।