fbpx

শুরু হয়েছে বিয়ের মৌসুম, নিজেকে তৈরি করবেন যেভাবে

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

বাংলাদেশে শীত মৌসুমকেই বলা হয়ে থাকে বিয়ের মৌসুম। বছরের এই সময়টাকেই সবাই বিয়ের জন্য বেছে নেন। আপনারও যদি পরিকল্পনা থাকে চলতি মৌসুমেই শুভ কাজটা সেরে ফেলবেন, তাহলে এখনই প্রস্তুতি নিয়ে ফেলেন। বিয়ে মানেই কেনাকাটা, খাওয়া-দাওয়াসহ নানা আয়োজন। তাই বিয়ের আনুষ্ঠানিকতার আগে অবশ্যই পরিকল্পনা করাটা জরুরি। আগে থেকে সঠিক পরিকল্পনা করলে বিয়ের আয়োজন যেমন ঝামেলাবিহীন হবে, তেমনি খরচও কমানো সম্ভব।

আমন্ত্রণপত্র
বিয়ের আয়োজনের অন্যতম আরেকটি অনুষঙ্গ হলো আমন্ত্রণপত্র। বিয়ের আমন্ত্রণপত্র কেনা, সেটা ছাপানো ও বিলি করা কনে বা বর পক্ষের অন্যতম কাজ। এ ছাড়া শুধু দামি কার্ড কিনলেই হবে না। সেটা সুন্দর ও নির্ভুল করে ছাপাতেও হবে। কার্ড যেটাই কিনুন সময় নিয়ে কিনুন যাতে ছাপানোর জন্য পর্যাপ্ত সময় থাকে। আর ছাপাটা যাতে নির্ভুল হয় সেদিকটাতেও খেলার রাখাটা জরুরি। কাগজের কার্ডের পাশাপাশি আজকাল কাপড়ের আমন্ত্রণপত্রও চলছে। অনেকটা রাজা-বাদশাহদের শাহি এলান পাঠের নমুনা। আবার কাগজ বা কাপড়ের পাশাপাশি কাঠের আমন্ত্রণপত্রও দেখা যাচ্ছে। পাতলা কাঠে ছাপানো। এটাও দারুণ। আমন্ত্রণপত্র বিলি করার আগে অতিথিদের তালিকা তৈরি করুন।

বর-কনের পোশাক
বিয়ের আয়োজনে সবার আগে দরকার বর-কনের পোশাক, গহনা বা প্রসাধনী কেনাকাটা। ভালো হয়, এসব জিনিস কেনাকাটার আগে তালিকা তৈরি করা। সেই সঙ্গে কোন জিনিসটা কোন দামের বা কোন ব্র্যান্ডের কিনবেন সেটাও পারলে তালিকায় লিখে রাখুন। সম্ভব হলে কোন এলাকা বা কোন মার্কেট থেকে কিনবেন সেটাও লিখে রাখুন। এ ছাড়া সব কেনাকাটার মধ্যে বর-কনের পোশাক একটু বেশি গুরুত্বপূর্ণ। কারণ পোশাকেই বর-কনে হয়ে উঠবেন উজ্জ্বল। বর-কনের পোশাকসহ বিয়ের নানা অনুষজ্ঞ কেনার জন্য এলিফ্যান্ট রোডে অনেক দোকান পাবেন। এসব দোকানে বরের পাগড়ি, পাঞ্জাবি, শেরওয়ানি সবই মিলবে। যারা কম বাজেটে বিয়ের আয়োজন সারতে চান তারা ইচ্ছা করলে পাগড়ি, পাঞ্জাবি, শেরওয়ানি ভাড়া করতে পারেন।

গহনা
বিয়ের মূল আয়োজনে গহনা অন্যতম অনুষঙ্গ। কারণ গহনা ছাড়া কনের সাজই হয় না। এ ছাড়া ঐতিহ্য বা সংস্কৃতিতেও বিয়ের গহনার রয়েছে আলাদা মূল্য। স্বর্ণের বিয়ের সেট পাওয়া যায়। চাইলে আলাদা করে বানিয়ে বা কিনে নেওয়া যায়।

বিয়ের খাবার
খাবার-দাবারে মিশে থাকে আয়োজনের সম্মান বা পারিবারিক ঐতিহ্য বা সামাজিক রীতিনীতি। সেজন্য খাবার বিষয়টি খুবই জরুরি। আর এ ক্ষেত্রে সবার আগে সিদ্ধান্ত নিতে হয় খাবারের মেন্যুতে কী কী থাকবে বা রাখবেন। প্রয়োজনে খাবারের মেন্যু নিয়ে দুই পরিবার আগেই পরিকল্পনা করতে পারেন। এতে দুই পরিবারেরই মঙ্গল। বাবুর্চি ও ক্যাটারিং সার্ভিসের কাছে লোক সংখ্যা আর মেন্যুও কথা বললে তারাই আপনাকে খাবারের খরচ সম্পর্কে ধারণা দেবেন।

বিয়ের সাজসজ্জা
বিয়ের আয়োজনে সাজসজ্জা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। অনেক সময় কম টাকায় ভালো সাজ করা যায়। আবার অনেক সময় বেশি টাকা খরচ করেও মনমতো সাজ পাওয়া যায় না। এখন অনেক ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট প্রতিষ্ঠান আছে, যারা বিয়ের আয়োজনের সব রকম ব্যবস্থাপনা করে থাকে। তাদের কাছ থেকেও সেবা নিতে পারেন। আবার নিজেরাও করতে পারেন। মূলত হলুদের স্টেজই প্রাধান্য পায়। এখানেও অনেক বর ও কনে দুই বাড়িতেই একই নকশার হলুদের স্টেজ করে থাকেন। অনেকে আলাদাও করেন।

ছবি বা ভিডিও
বিয়ের ছবি তোলা বা ভিডিও করার জন্য অসংখ্য প্রতিষ্ঠান বা ফটোগ্রাফার পাবেন আশপাশে। আবার আজকাল তো কেবল বিয়ের আনুষ্ঠানিকতারই ছবি তোলা হয় না। এর সঙ্গে যোগ হয়েছে প্রি-ওয়েডিংয়ের ছবি। মানে গায়ে হলুদ বা বিয়ের আনুষ্ঠানিকতার আগেই বর-কনে পার্ক বা রেস্টুরেন্ট বা পছন্দের জায়গায় ছবি তোলেন।

বিয়ের স্থান
বিয়ের স্থান হিসাবে অনেকেই কমিউনিটি সেন্টার বা কনভেনশন হল বা হোটেল বেছে নিচ্ছেন। অন্যদিকে গ্রাম-গঞ্জে এখনো নিজেদের বাড়ির উঠান বা মাঠেই সারছেন বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা। তবে কমিউনিটি সেন্টার বা কনভেনশন হল বা হোটেল ভেন্যু হিসাবে নিলে আগে থেকেই ভেন্যু কুক করুন।

গুছিয়ে কাজ করুন
বিয়ের আয়োজনে বরের বাড়ির যেমন কিছু নির্দিষ্ট অনুষ্ঠানিকতা আছে, তেমনি কনের বাড়িরও কিছু নির্দিষ্ট আনুষ্ঠানিকতা আছে। এ কার্যক্রমগুলো আগে থেকেই দুই পরিবারের মধ্যে সমঝোতা করে নেওয়া ভালো।

ত্বকের যত্ন
সবাই চান তার বিয়ের আয়োজন যেন সুন্দর হয়। আর সে ক্ষেত্রে সব নারী-পুরুষেরই উচিত অন্তত কয়েক মাস আগে থেকেই প্রস্তুতি নেওয়া। এর মধ্যে নিজের ত্বকের যত্ন নেওয়াটাও জরুরি।

Advertisement
Share.

Leave A Reply