fbpx

শেখ হাসিনাকে হত্যা চেষ্টা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি আবদুল হাই গ্রেফতার

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টা ও রমনা বটমূলে বোমা হামলা মামলার মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত আসামি মুফতি আব্দুল হাইকে গ্রেফতার করছে র‍্যাব।

গতকাল ২৫ মে (বুধবার) রাতে জঙ্গিগোষ্ঠী হরকাতুল জিহাদ বাংলাদেশের সাবেক আমির ও প্রতিষ্ঠাতা সদস্য মুফতি আবদুল হাইকে নারায়ণগঞ্জ জেলার ফতুল্লা থেকে গ্রেফতার করে র‍্যাব-২ এর একটি দল।

মুফতি আবদুল হাই গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় ৭৬ কেজি বোমা পুঁতে রেখে শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টা ও রমনার বটমূলে বোমা হামলা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি। এ ছাড়াও তিনি আরও মামলায় যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাাপ্ত আসামি। তার বাড়ি কুমিল্লা জেলার দাউদকান্দিতে।

২০০১ সালের ১৪ এপ্রিল রমনা বটমূলে ছায়ানটের বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে বোমা হামলায় ১০ জন নিহত হয়। এ ঘটনায় দায়ের করা মামলায় ২০১৪ সালের ২৩ জুন হরকাতুল জিহাদের শীর্ষ নেতা মুফতি হান্নানসহ ৮ জনকে মৃত্যুদন্ড এবং ৬ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন বিচারিক আদালত।

এর আগে ২০০০ সালের ২০ জুলাই গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় জনসভাস্থলে বোমা পুঁতে রেখে শেখ হাসিনাকে হত্যার চেষ্টা করা হয়। ওই মামলায় ১৪ জঙ্গিকে মৃত্যুদণ্ড দেন আদালত।

র‍্যাব জানায়, এই দুই মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের মধ্যে ছিলেন মুফতি আবদুল হাই। এ ছাড়া ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে গ্রেনেড হামলা মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি তিনি।

২০০০ সালের ২০ জুলাই কোটালীপাড়ায় তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সমাবেশস্থলের পাশে ৭৬ কেজি ওজনের বোমা পুঁতে রাখা হয়। শেখ লুৎফর রহমান মহাবিদ্যালয়ের উত্তর পাশের একটি চায়ের দোকানের পেছনে এ বোমা বিস্ফোরণের মাধ্যমে শেখ হাসিনাকে হত্যার পরিকল্পনা করা হয়েছিল। এ ঘটনায় তৎকালীন কোটালীপাড়া থানার উপ-পরিদর্শক নূর হোসেন বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন।

পরে ২০১৭ সালের ২০ আগস্ট এ মামলায় ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক মমতাজ বেগম ১০ জঙ্গির সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড দেন। আদালত ফায়রিং স্কোয়াডে প্রত্যেকের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার আদেশ দেন। এ ছাড়াও চার আসামিকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেন।

Advertisement
Share.

Leave A Reply