fbpx

সঞ্চয়পত্র বিক্রিতে রেকর্ড: পাঁচ মাসেই লক্ষ্যমাত্রা পূরণ

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

২০২০-২১ অর্থবছরের বাজেটে সরকার সঞ্চয়পত্র বিক্রির মাধ্যমে ২০ হাজার কোটি টাকা সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছিল। কিন্ত বছর শেষ না হতেই সরকার লক্ষ্যমাত্রার প্রায় ৯৫ ভাগ সংগ্রহ করে ফেলেছে।

অর্থবছরের জুলাই থেকে নভেম্বর- এই পাঁচ মাসে সরকার সংগ্রহ করে ১৯ হাজার ৪৪ কোটি টাকা। সে হিসেবে মাত্র পাঁচ মাসেই অর্জিত হয়েছে ৯৫ দশমিক ২২ শতাংশ। জাতীয় সঞ্চয় অধিদফতর সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সাধারণত সঞ্চয়পত্র যাঁরা কেনেন, তাঁরা এটাকে বিনিয়োগ হিসেবে বিবেচনা করে থাকেন। কিন্তু সঞ্চয় অধিদফতর যে নিট বিক্রি দেখায়, সেটি মূলত গ্রাহকদের কাছ থেকে নেয়া সরকারের ঋণ। এই ঋণের বিপরীতে সরকারকে উচ্চ হারে সুদ গুনতে হয়।

জাতীয় সঞ্চয় অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, একক কোনো ব্যক্তি সর্বোচ্চ ৫০ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র কিনতে পারেন। অথবা যৌথ নামে এক কোটি টাকা পর্যন্ত কেনা যায়। আর পেনশনধারীরা একক নামে ৫০ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র কিনতে পারতেন। এছাড়া পেনশনধারী যৌথ নামে আরও ১ কোটি টাকার কিনতে পারে।

সঞ্চয়পত্রে পাঁচ লাখ টাকার বেশি বিনিয়োগের বিপরীতে পাওয়া মুনাফার ওপর সরকার ১০ শতাংশ করে কর কেটে নেয়। সব সঞ্চয়পত্রের সুদই ১১ শতাংশের বেশি।

সঞ্চয় অধিদফতরের মহাপরিচালক সামছুন্নাহার বেগম বলেন, ‘বিনিয়োগকারীরা যাতে নির্বিঘ্নে সঞ্চয়পত্র কিনতে ও ভাঙাতে পারেন, সে ব্যাপারে আমরা সচেতন আছি। বিনিয়োগকারীদের কথা বিবেচনা করে করোনার মধ্যে ঝুঁকি নিয়েও অধিদফতরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অফিস করছেন।’

জাতীয় সঞ্চয় অধিদফতর থেকে জানা গেছে, ২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসে নিট সঞ্চয়পত্র বিক্রি হয়েছিল ৫ হাজার ৮৪২ কোটি টাকার। আর ২০২০-২১ অর্থবছরের একই সময়ে সঞ্চয়পত্র বিক্রির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১৯ হাজার ৪৪ কোটি টাকা।

সে হিসেবে এক বছরের ব্যবধানে পাঁচ মাসে ১৩ হাজার ২০২ কোটি টাকা বিক্রি বেড়েছে। গেল ২০১৮-১৯ অর্থবছরের জুলাই-নভেম্বর পাঁচ মাসে সঞ্চয়পত্রের নিট বিক্রি হয়েছিল ২১ হাজার ৬৬২ কোটি টাকা।

চলতি অর্থবছর শেষে সঞ্চয়পত্র বিক্রির মাধ্যমে সরকারের ঋণের পরিমাণ ৫০ হাজার কোটি টাকা হবে বলে মনে করছেন সঞ্চয় অধিদফতরের কর্মকর্তারা। গত অর্থবছরে এর পরিমাণ ছিল সাড়ে ১৪ হাজার কোটি টাকা।

নভেম্বর মাসের হিসাব বিবেচনায়, ২০২০ সালের নভেম্বরে ৩ হাজার ৪০২ কোটি টাকার নিট সঞ্চয়পত্র বিক্রি হয়েছে। ২০১৯ সালের নভেম্বরে বিক্রি হয়েছিল ৩২০ কোটি ৬২ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র। আর ২০১৮ সালের নভেম্বরে নিট বিক্রি হয়েছিল ৩ হাজার ৮৩৩ কোটি টাকা।

প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের ১ জুলাই চালু হয় অনলাইনে সঞ্চয়পত্র বিক্রি। সে বছর থেকেই সঞ্চয়পত্র বিক্রিতে কড়াকড়ি আরোপ করে সরকার। সঞ্চয়পত্র কেনার সময় জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) এবং কর শনাক্তকরণ নম্বর (টিআইএন) থাকা বাধ্যতামূলক করা হয়। ফলে গত অর্থবছর সঞ্চয়পত্র কম বিক্রি হয়েছিল।

Advertisement
Share.

Leave A Reply