fbpx

সঞ্জীব চৌধুরী, এক ক্ষণজন্মা নক্ষত্রের জন্মদিন আজ

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

২৫ ডিসেম্বর, ঠিক এই দিনেই একজন ক্ষণজন্মা নক্ষত্রের জন্ম হয়েছিল। পরবর্তীতে তিনি বাংলাদেশের সংগীত  ভুবনে নতুন এক ধারার সৃষ্টি করেছিলেন। বলছি একসময়ের, এমনকি এখনও সমান জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী সঞ্জীব চৌধুরীর কথা। আজ সঞ্জীব চৌধুরীর জন্মদিন।

১৯৬৪ সালের এই দিনে বাংলাদেশের হবিগঞ্জ জেলার বানিয়াচং উপজেলার মাকালকান্দি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন সঞ্জীব চৌধুরী। তার বাবা ননী গোপাল চৌধুরী এবং মা প্রভাষিণী দেবী।

 ঢাকার বকশী বাজার নবকুমার ইন্সটিটিউট থেকে ১৯৭৮ সালে মাধ্যমিক পরীক্ষায় মেধা তালিকায় ১২তম স্থান অর্জন করেন। ১৯৮০ সালে ঢাকা কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেও মেধা তালিকায় স্থান করে নেন তিনি।

সঞ্জীব চৌধুরী, এক ক্ষণজন্মা নক্ষত্রের জন্মদিন আজ

সঞ্জীব চৌধুরী। ছবি: সংগৃহীত

 

সঞ্জীব চৌধুরী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতা বিভাগ থেকে গ্রাজুয়েশন সম্পন্ন করেন। হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী কণ্ঠ হিসেবে তার নাম ছড়িয়ে পড়ে।

সাংবাদিকতায় নতুন দিগন্তের সূচনা করেছিলেন সঞ্জীব চৌধুরী। জীবদ্দশায় দৈনিক ভোরের কাগজ, দৈনিক আজকের কাগজ ও দৈনিক যায়যায়দিনে কর্মরত ছিলেন। সেই সাথে শিল্পী ও গীতিকবি হিসেবে তরুণ প্রজন্মের জন্য আদর্শ হয়ে উঠেছিলেন তিনি।

বাপ্পা মজুমদারের সঙ্গে মিলে ১৯৯০ সালে সঞ্জীব চৌধুরী গঠন করেন ব্যান্ড দলছুট। ১৯৯৬ সালে এ ব্যান্ড তাদের প্রথম অ্যালবাম ‘আহ’ প্রকাশ করে বেশ প্রশংসিত হয়। পরবর্তীতে ‘হৃদয়পুর’, ‘আকাশচুরি, এবং জোছনাবিহার’ অ্যালবাম থেকে একাধিক গান জনপ্রিয়তা পায়।

সঞ্জীব চৌধুরী, এক ক্ষণজন্মা নক্ষত্রের জন্মদিন আজ

ছবি: সংগৃহীত

সঞ্জীব চৌধুরীর ক্যারিয়ারের একমাত্র একক অ্যালবাম ছিল ‘স্বপ্নবাজী। এসব অ্যালবামে সঞ্জীব-বাপ্পার গাওয়া ‘গাড়ি চলে না’, ‘বায়স্কোপ’ এবং সঞ্জীবের কণ্ঠে ‘আমি তোমাকেই বলে দেবো’, ‘আমাকে অন্ধ করে দিয়েছিল চাঁদ’, ‘চোখটা এত পোড়ায় কেন’-সহ একাধিক গান শ্রোতাপ্রিয়তা পায়।

২০০৭ সালের ১৯ নভেম্বর হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। তাঁকে এপোলো হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।  চিকিৎসারত অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন এ গুণী ব্যক্তিত্ব।

ধারাবাহিকসহ বেশ কয়েকটি নাটকেও তিনি অভিনয় করেছেন। লিখেছেন অনেক গল্প ও কবিতা। তার সুর ও গাওয়া জনপ্রিয় গানগুলোর মধ্যে আছে ‘বায়োস্কোপ’, ‘আমাকে অন্ধ করে দিয়েছিল চাঁদ’, ‘আমি তোমাকে বলে দিব’, ‘সাদা ময়লা রঙ্গিলা পালে আউলা বাতাস’, ‘চোখ’, ‘তখন ছিল ভীষণ অন্ধকার’, ‘আহ ইয়াসমিন’, ‘রিকশা’, ‘কথা বলব না’। তার গাওয়া বাউল শাহ আবদুল করিমের লেখা ‘গাড়ি চলে না’ এবং ‘কোন মেস্তরি বানাইয়াছে নাও’ গান দুটিও বেশ প্রশংসা কুড়িয়েছে।

সঞ্জীব চৌধুরী, এক ক্ষণজন্মা নক্ষত্রের জন্মদিন আজ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে অবস্থিত সঞ্জীব চত্বরে তার স্মরণে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ‘সঞ্জীব উৎসব ২০২১’

 

প্রতিবছরের মতো এবারও গুণী এই শিল্পীকে নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসির সঞ্জীব চত্বরে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ‘সঞ্জীব উৎসব’। সঞ্জীব উৎসব উদযাপন পর্ষদের আয়োজনে ১০তম উৎসবে ১০ রকমের পরিবেশনায় গান করবেন শুভযাত্রা, জয় শাহরিয়ার, সাহস মোস্তাফিজ, সাবকনশাস, বে অব বেঙ্গল, লালন মাহমুদ, সুহৃদ স্বাগত, দুর্গ, ইন্ট্রোয়েট ও বিস্কুট। উৎসবে প্রকাশ হবে সঞ্জীব চৌধুরীর গান-কবিতা সমগ্র ‘তোমাকেই বলে দেবো’। জয় শাহরিয়ারের সংকলন ও সম্পাদনায় প্রকাশিতব্য বইটিতে সঞ্জীব চৌধুরীর প্রকাশিত সব লিরিক স্থান পেয়েছে এক মলাটে। বইটি প্রকাশ করছে ‘আজব প্রকাশ’।

উৎসবের সার্বিক সহযোগিতা করছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংস্কৃতিক সংসদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ব্যান্ড সোসাইটি এবং আজব কারখানা।  আজ(২৫ ডিসেম্বর) বিকাল ৪ টায় এই অনুষ্ঠান শুরু হবে।

সঞ্জীব চৌধুরী সম্পর্কে আরও জানতে-

https://www.facebook.com/eveningshow.bbs/videos/195547109414196

Advertisement
Share.

Leave A Reply