ব্যবসায়ীরা সপ্তাহ খানেক আগে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে চিনির দাম বাড়ানোর প্রস্তাব দেওয়ার পরই বাড়তে শুরু করেছে এই পণ্যের দাম। গত দুই দিনের ব্যবধানে কেজিতে চিনির দাম বেড়েছে ৫ থেকে ৭ টাকা।
শনিবার সিলেটের মৌলভীবাজারে পাইকারিতে খোলা চিনি বিক্রি হয়েছে ৮৭ টাকা কেজি। আর খরচসহ রাজধানীর কারওয়ান বাজারে সেই চিনি বিক্রি হয়েছে ৯০ টাকায়। অথচ গেল সপ্তাহে এসব দোকানে পাইকারিতে চিনি বিক্রি হয়েছিল কেজিতে ৮১ থেকে ৮২ টাকায়।
টিসিবির বাজারদরের তালিকায়ও চিনির দাম বাড়ার এই চিত্র মিলেছে। টিসিবি জানিয়েছে, ঢাকার বাজারে খোলা চিনি বিক্রি হচ্ছে ৮২ থেকে ৯০ টাকা কেজি। যা এক সপ্তাহ আগেও ছিল ৮০ থেকে ৮২ টাকা। সে হিসেবে সপ্তাহের ব্যবধানে চিনির দাম বেড়েছে ৮ থেকে ১০ টাকা।
শুধু চিনি নয়, বাজারে দুই ধরনের চালের দাম কেজিতে আরও দুই টাকা বেড়েছে। বিআর২৮-এর কেজি ৫৮ টাকা থেকে বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়। আর ভালো মানের মিনিকেট চালের দাম আরও দুই টাকা বেড়ে হয়েছে ৭২ টাকা। বাজারে চিনিগুঁড়া চালের দাম আরেক দফা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকায়।
কারওয়ান বাজারের এক ব্যবসায়ী জানান, চালের দাম প্রতিনিয়ত বাড়ছে। বেড়েছে চিনির দামও। প্রায় সব পণ্যের দাম বাড়তি। বাজার ঠিক কোন দিকে এগোচ্ছে, সেটা আন্দাজ করা যাচ্ছে না।
অন্যদিকে রাজধানীতে মুরগি ও ডিমের বাজার বেশ অস্থিতিশীল। পাইকারি বাজারেই ব্রয়লার মুরগি ১৯০ থেকে ২০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। আর ডিমের ডজন পাইকারিতে বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকায়।