মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম মোহাম্মদ সলিহ’র আমন্ত্রণে ছয়দিনের রাষ্ট্রীয় সফর শেষে আজ দেশে ফিরবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম জাতীয় সংবাদমাধ্যম বাসসকে জানান, ‘বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি বিশেষ ভিভিআইপি ফ্লাইট গতকাল রবিবার (২৬ ডিসেম্বর) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তাঁর সফরসঙ্গীদের নিয়ে স্থানীয় সময় দুপুর ১টায় ভেলানা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করেছে।’
আজ সোমবার (২৭ ডিসেম্বর) ঢাকার স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছানোর কথা রয়েছে ফ্লাইটটির।
এর আগে, গত ২২ ডিসেম্বর মালদ্বীপের স্থানীয় সময় বেলা ৩টায় দেশটির রাজধানী মালের ভেলানা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বিমানবন্দরে মালদ্বীপের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রীকে অভ্যর্থনা জানান। এ সময় শেখ হাসিনাকে গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়। পরে একটি আনুষ্ঠানিক মোটর শোভাযাত্রা সহকারে তাঁকে তাঁর অবস্থানস্থলে নিয়ে যাওয়া হয়।
২৩ ডিসেম্বর তাঁর সফরের দ্বিতীয় দিনে, যোগ্য স্বাস্থ্য পেশাদারদের নিয়োগ এবং যুব ও ক্রীড়া উন্নয়নের ক্ষেত্রে সহযোগিতার বিষয়ে দু’টি সমঝোতা স্মারক এবং দ্বৈত আয়কর বিলোপের জন্য একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
এছাড়া, বাংলাদেশ ও মালদ্বীপের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মধ্যে স্বাস্থ্যসেবা ও চিকিৎসা বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) নবায়ন করা হয়।
এ সফরে দক্ষিণ এশিয়ার দুই দেশের মধ্যে বন্ধুত্বের প্রতীক হিসেবে বাংলাদেশ মালদ্বীপকে ১৩টি সামরিক যান উপহার দিয়েছে।
দ্বিপাক্ষিক আলোচনা এবং উপকরণ হস্তান্তর অনুষ্ঠানের পর একটি যৌথ ইশতেহার ঘোষণা করা হয়।
সফরকালে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম মোহাম্মদ সলিহ, ভাইস-প্রেসিডেন্ট ফয়সাল নাসিম, পিপলস মজলিসের স্পিকার (জাতীয় সংসদ) মোহাম্মদ নাশিদ এবং প্রধান বিচারপতি উজ আহমেদ মুথাসিম আদনানের সাথে আলাদা আলাদা বৈঠক করেন।
এরপর, ২৩ ডিসেম্বর বিকেলে মালদ্বীপের সংসদে ভাষণ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তাঁর সম্মানে মালদ্বীপের রাষ্ট্রপতি ও দেশটির ফার্স্ট লেডি আয়োজিত রাষ্ট্রীয় ভোজসভায় যোগ দেন তিনি।
২৪ ডিসেম্বর মালে প্রবাসী বাংলাদেশিদের দেওয়া একটি সংবর্ধনায় ভার্চুয়ালি অংশগ্রহণ করেন শেখ হাসিনা।