বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপের প্রভাবে দক্ষিণাঞ্চলসহ উপকূলীয় এলাকায় বৃষ্টি ও ঝোড়ো হওয়ার আভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এসব এলাকায় দক্ষিণ ও দক্ষিণ পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে দমকা হওয়া বয়ে যেতে পারে। সমুদ্রবন্দরগুলোকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
তবে বৃষ্টির প্রবণতা কমে যাওয়ায় দেশের ৪ জেলার ওপর দিয়ে মৃদু তাপপ্রবাহ বইছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে বলেও জানিয়েছে সংস্থাটি।
আবহাওয়াবিদ মো. আব্দুর রহমান খান এসব তথ্য জানান গণমাধ্যমে। তিনি জানান, বুধবার সকাল ৬টা থেকে বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের বেশিরভাগ অঞ্চলই ছিল বৃষ্টিহীন। এ সময় সবচেয়ে বেশি ৬০ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে খুলনায়। ঢাকায় ১ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। বৃষ্টি কমে যাওয়ায় গরম বাড়ছে। গতকাল দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৬ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে কুমিল্লা ও চাঁদপুরে। ঢাকায় তাপমাত্রা ছিল ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আজ বৃহস্পতিবার সকালে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৪ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয় পটুয়াখালীর খেপুপাড়ায়।
তিনি বলেন, আগামী ২৪ ঘণ্টায় রংপুর, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রাজশাহী, ঢাকা ও ময়মনসিংহ বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেইসঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারি বর্ষণ হতে পারে। এ সময়ে সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে জানিয়ে মো. আব্দুর রহমান খান বলেন, কুমিল্লা, চাঁদপুর, যশোর এবং সাতক্ষীরার ওপর দিয়ে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে, যা অব্যাহত থাকতে পারে।
অন্যদিকে, আবহাওয়ার সতর্কবার্তায় বলা হয়েছে, পূর্ব মধ্য-বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় সৃষ্ট লঘুচাপের প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় গভীর সঞ্চারণশীল মেঘমালার সৃষ্টি হচ্ছে। সমুদ্রবন্দর, উত্তর বঙ্গোপসাগর ও বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা বন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি এসে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে। সেইসঙ্গে তাদের গভীর সাগরে বিচরণ না করতে বলছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
