নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ সমুদ্র ও স্থলবন্দরের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সরকারের অগ্রাধিকার তালিকায় করোনা টিকা দেওয়া শুরু হবে। আর তা আগামী ১৪ জুলাই থেকে শুরু হবে বলে জানিয়েছেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। প্রথম পর্যায়ে দেওয়া হবে ১২ হাজার টিকা এবং পরবর্তীতে বাকিদেরকেও টিকার আওতায় আনা হবে বলে জানান তিনি।
গতকাল রবিবার (১১ জুলাই) নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে এসব কথা জানান নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী।
তিনি বলেন, সমুদ্র ও স্থলবন্দরে অনেক দক্ষ লোক ঝুঁকি নিয়ে কাজ করছেন। করোনায় তারা ক্ষতিগ্রস্থ হলে বন্দরের কাজকর্ম অচল হয়ে যাবে। আর তাই সমুদ্র ও স্থলবন্দরের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও কর্মচারিরা টিকা নেওয়ার মাধ্যমে স্বাস্থ্য সুরক্ষিত হয়ে কাজ করতে পারবেন।
খালিদ মাহমুদ জানান, ২০২০ সালের মার্চ থেকে এই বন্দরগুলো ঝুঁকির মধ্য দিয়েই সচল রয়েছে। নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদিসহ সাপ্লাই চেইনও সচল রাখা হয়েছে। এখন পর্যন্ত, চট্টগ্রাম বন্দরে করোনায় মৃত্যু হয়েছে ১৫ জনের। সেখানে ৫০ শয্যার ডেডিকেটেড করোনা হাসপাতালও করা হয়েছে। এর আগে, সমুদ্র ও স্থলবন্দরগুলোতে প্রথমধাপে করোনা টিকা দেওয়ার চেষ্টাও করা হয়েছিল।
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, প্রথমদিকে টিকার সংকটের কারণে অনেক দেশই টিকা পাচ্ছিল না। তবে, এখন আর করোনা টিকার সংকট হবে না। কারণ, বিশ্বের ৩০টি দেশের তালিকায় বাংলাদেশ প্রথম থেকেই টিকা পাচ্ছে। ভ্যাকসিন নিয়ে রাজনৈতিক বক্তব্য দেওয়া বা সমালোচনা করা ঠিক না বলেও তার বক্তব্যে উল্লেখ করেন তিনি।
খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এ সময় জরুরি সেবার অংশ হিসেবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ফেরি চলাচল অব্যাহত থাকবে উল্লেখ করে বলেন, ফেরি চলাচল বন্ধ হয়নি, সচল ছিল এবং বর্তমানেও চালু আছে। তবে, গত ৯ জুলাই থেকে ফেরিতে যাত্রীবাহী সকল ধরনের গাড়ি ও যাত্রী পরিবহন বন্ধ রয়েছে। কঠোর স্বাস্থ্যবিধি মেনে ফেরিতে এখন শুধুমাত্র জরুরী পণ্যবাহী গাড়ি ও এ্যাম্বুলেন্স পারাপার করা হচ্ছে।
সকলকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ঈদ পালন করার আহ্বান জানান নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী।