বুধবার থেকে আরও একদফা বোতলজাত সয়াবিন তেলের মূল্য বৃদ্ধি করতে চাচ্ছে ব্যবসায়ীরা। গত বছর মার্চে ভোজ্যতেলের আমদানি ও উৎপাদনের জন্য কম মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) আরোপ করা হয়েছিল যার মেয়াদ শেষ হয়েছে (৩০ এপ্রিল) রবিবার।
বর্তমানে বোতলজাত সয়াবিন তেলের আনুষ্ঠানিক মূল্য লিটার প্রতি ১৯০ টাকা। ১৭ ই নভেম্বর ২০২২ সালে বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম প্রতিলিটারে বাড়ানো হয়েছিল ১৮ টাকা।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, দেশে বছরে ২০ লাখ টন ভোজ্যতেলের চাহিদা রয়েছে। এর মধ্যে রমজান মাসের চাহিদা প্রায় ৩ লাখ টন। স্থানীয় উৎপাদন হয় ২ লাখ টন বাকি ১৮ লাখ টন আমাদের আমদানি করতে হয়।
গত ফেব্রুয়ারিতে নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক ৩০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২৫ শতাংশ করেছিল এনবিআর (জাতীয় রাজস্ব বোর্ড)। সয়াবিন তেল ছাড়াও প্রতি টন অপরিশোধিত চিনির উপর প্রযোজ্য তিন হাজার টাকা ও পরিশোধিত চিনি আমদানির উপর ছয় হাজার টাকা আমদানি শুল্ক প্রত্যাহার করে সংস্থাটি। এ সুবিধা আগামী ৩০ মে পর্যন্ত চলবে।
রবিবার ৩০ এপ্রিল বাণিজ্য সচিব তপন কান্তি ঘোষের কাছে সয়াবিন তেল ও পাম তেলের দাম সমন্বয় করার কথা বলে আবেদন করেছেন ভোজ্যতেল পরিশোধন কারখানাগুলোর সমিতি বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন। এ বিষয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি জানান, তিনি একটি আবেদন পেয়েছেন। ট্যারিফ কমিশন ৩ তারিখ মালিকদের সঙ্গে আলোচনা করে সয়াবিন তেলের দাম নির্ধারণ করবেন।