করোনা মহামারির মধ্যে সরকারি চাকরিতে আবেদন করার বয়সসীমা যাদের শেষ হয়ে গেছে বা শেষ হয়ে যাচ্ছে, তাদের জন্য ২১ মাস ছাড় দিতে প্রধানমন্ত্রীর কাছে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন।
আজ বৃহস্পতিবার (১২ আগস্ট) সচিবালয়ে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে প্রতিমন্ত্রী এ কথা জানান।
প্রতিমন্ত্রী জানান, ২০২০ সালের ২৫ মার্চ ৩০ বছর পূর্ণ হওয়া চাকরিপ্রার্থীরা আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত আবেদন করতে পারবেন এমন প্রস্তাব দিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠানো হয়েছে। তিনি অনুমোদন দিলেই সে বিষয়ে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হবে।
প্রতিমন্ত্রী আরও জানান, এই প্রস্তাব অনুমোদন পেলে চাকরীপ্রার্থীরা ২১ মাস পর্যন্ত বয়সের ছাড় পাবেন। প্রধানমন্ত্রী অনুমোদন পেলে এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে। এরপর তা সরকারি সব প্রতিষ্ঠানের কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হবে। ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রতিষ্ঠানগুলো যেসব বিজ্ঞাপন দেবে সেই বিজ্ঞাপনে উল্লেখ করবে, যাদের বয়স ২৫ মার্চ ৩০ বছর হয়েছে তারা আবেদন করতে পারবে।
সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বর্তমানে ৩০ বছর এবং মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের ক্ষেত্রে তা ৩২ বছর। এর মধ্যে, প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির চাকরিতে সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) মাধ্যমে নিয়োগ দেওয়া হয়। আর তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির পদগুলোতে নিয়োগের দায়িত্ব থাকে সংশ্লিষ্ট সরকারি দফতরের।
উল্লেখ্য, করোনা মহামারির মধ্যে এর আগে প্রথম দফায় সরকার সাধারণ ছুটির কারণে ক্ষতিগ্রস্ত চাকরি প্রার্থীদের বয়সের ক্ষেত্রে ছাড় দেয়। গত বছরের ২৫ মার্চ যাদের বয়স ৩০ বছর পূর্ণ হয়েছিল, তাদের সরকারি চাকরিতে আবেদনের সুযোগ দেওয়া হয় পরবর্তী ৫ মাস অর্থাৎ আগস্ট পর্যন্ত। কিন্তু গত এপ্রিল থেকে আবারও লকডাউন শুরু হলে এতোদিন মন্ত্রণালয়, বিভাগ কিংবা সংস্থাগুলো চাকরির জন্য বিজ্ঞপ্তি দিতে পারেনি।
এসব কারণে বয়সসীমা বাড়ানোর জন্য চাকরিপ্রার্থীদের পক্ষ থেকে দাবি ছিল সরকারের প্রতি। এ সংক্রান্ত প্রস্তাবটি প্রধানমন্ত্রী সম্মতি দিলে তা কার্যকর করা হবে।