fbpx

সরকারের দ্রুত পদক্ষেপে করোনা দেশে বড় ক্ষতি করতে পারেনি : প্রধানমন্ত্রী

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

দেশের সর্বাধিক ঝুঁকিতে থাকা মানুষ ও ব্যবসা সুরক্ষায় সরকার দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করায় করোনা মহামারি তাঁর দেশে বড় ধরনের ক্ষতি করতে পারেনি বলে জানালেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

সোমবার (২০ ডিসেম্বর) নিউইয়র্ক ভিত্তিক জনপ্রিয় সাময়িকী ফরচুনে প্রকাশিত এক নিবন্ধে শেখ হাসিনা লিখেছেন, ‘বাংলাদেশ কোভিড-১৯ এর শিকার হতে পারত। কিন্তু আমরা আমাদের সর্বাধিক ঝুঁকিতে থাকা জনগণ ও ব্যবসাগুলোর সুরক্ষায় দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি।’

তিনি লিখেছেন, ‘আমরা এই মহামারি থেকে খুব দ্রুত উত্তরণ করছি এবং এক দশক আগে আমাদের যে অর্থনৈতিক পুনরুত্থান ঘটেছিল, তা সচল রেখে একটি ভাল অবস্থানে পৌঁছতে সক্ষম হই’।

‘গত বছর মহামারির শুরুতে, সরকার হত-দরিদ্র, প্রতিবন্ধী, বয়োজ্যেষ্ঠ, অভিবাসী ও অসহায় নারীদের ত্রাণ দিয়েছে। আমরা খুব দ্রুত ৪ কোটি বা দেশের এক চতুর্থাংশ মানুষের মাঝে অর্থ বিতরণসহ বিভিন্ন সহায়তা দেই। মোট ২২.১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বা আমাদের জিডিপি’র প্রায় ৬.২ শতাংশের এই সহায়তা ২৮টি পৃথক প্রণোদনা প্যাকেজের মাধ্যমে দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও আমরা আরো কয়েকশ কোটি মার্কিন ডলার ভ্যাকসিন ক্রয় ও অন্যান্য জরুরি ব্যবস্থা গ্রহণে ব্যয় করেছি’ বলেও তার লেখাতে উল্লেখ করেন শেখ হাসিনা।

ওমিক্রন বিষয়ে সরকারপ্রধান লিখেছেন, ‘ওমিক্রন ধরন এলে আমাদের প্রতিটি সিদ্ধান্তের প্রতি জনগণের সমর্থন অব্যাহত থাকবে’।

তিনি আরও লিখেছেন, ‘বর্তমান সরকারের নীতি হচ্ছে, ‘কেউ ক্ষুধার্ত থাকবে না। এই নীতির আলোকে ১৬.৮ মিলিয়ন পরিবারকে চাল, শিশু-খাদ্য ও নগদ অর্থ প্রদান করা হয়েছে। আমরা বয়স্ক, অক্ষম ও নিঃস্ব-অসহায় নারীদের এই অর্থ প্রদান করেছি’।

তিনি তাঁর লেখনীতে আরও লিখেছেন, ‘সরকার করোনাকালে ক্ষুদ্র ব্যবসা ও এর কর্মীদের নানাভাবে সহায়তা দিয়ে তাদের পাশে দাঁড়িয়েছে। আমরা ক্ষুদ্র-ব্যবসায়ী উদ্যোক্তা, বিশেষত নারী ও কৃষকদের সহজ শর্তে ঋণ দিয়েছি। পর্যটন শিল্পের কর্মীদেরও সরকার সহজ শর্তে ঋণ দিয়েছে। করোনার কারণে শাটডাউনে এ শিল্পও ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

এছাড়া, বড় ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানগুলোও সহয়তা পেয়েছে। তৈরি পোশাক খাতের মতো রপ্তানি-সংশ্লিষ্ট ব্যবসার কর্মীদেরও আমরা কয়েকশ’ কোটি ডলার দিয়েছি’।

নিবন্ধে প্রধানমন্ত্রী আরও লিখেছেন, ‘কর্মীদের আর্থিক বোঝা লাঘবের জন্য, ওই ঋণগুলোর সুদ ঋণ-গ্রহীতা ও সরকারের মাঝে ভাগ করে নেওয়া হয়। গত বছর দুই মাসের জন্য এবং এরপর পরবর্তী ১২ মাসের জন্য বাণিজ্যিক ঋণের সকল সুদকে বস্তুত মওকুফ করে দেওয়া হয়’।

Advertisement
Share.

Leave A Reply