বান্দরবানে মারমা সম্প্রদায়ের সাংগ্রাই উৎসবের শুভ সূচনা করেছেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশেসিং।
বৃহস্পতিবার সকালে মন্ত্রী বান্দরবান রাজার মাঠ থেকে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী সাংগ্রাই এর এক বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রায় অংশ নেন। শোভাযাত্রাটি বান্দরবান শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে নৃ-গোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউট এর হল রুমে গিয়ে শেষ হয়। ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর তরুণ-তরুণীরা এসময় বিভিন্ন ব্যানার ও ফেস্টুন হাতে নিয়ে পুরাতন বছরকে বিদায় ও নতুন বছরকে স্বাগত জানিয়ে নেচে গেয়ে আনন্দ উদযাপন করে। পুরাতন বছরকে বিদায় আর নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে এই আনন্দে সামিল হতে পেরে খুশি সবাই। এই উৎসবকে ঘিরে পার্বত্য জেলার পাহাড়ী ও বাঙ্গালী সম্প্রদায়ের মধ্যে বইছে আনন্দের বন্যা।
পরে তিনি বান্দরবান সদরে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে বয়ঃজ্যেষ্ঠ পূজায় যোগদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে অংশ নেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে সকল ধর্মের মানুষ স্বাধীনভাবে বসবাস করছে। ধর্ম নিরপেক্ষ ও সকল ধর্মের মানুষ বাংলাদেশে একসাথে স্বাধীনভাবে বসবাস করবে এটাই ছিল বঙ্গবন্ধুর নীতি, লক্ষ্য ও আদর্শ।
মন্ত্রী বলেন, দুষ্টু লোকের কোনো দল নাই। তার কোনো ধর্ম নাই। সমাজে যারা দোষী ও সন্ত্রাসী তাদের কোনোভাবেই ছেড়ে দেয়া হবে না। সমাজের এই ধরনের দুষ্টু লোকদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার সরকার কোনোভাবেই প্রশ্রয় দিবে না।
পুরাতন বছরকে বিদায় আর নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে গিয়ে আগামীদিনে সকলে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহবান জানান পার্বত্যমন্ত্রী।
আগামীকাল ১৪ এপ্রিল দুপুরে সাংগু নদীর পাড়ে বুদ্ধ মূর্তি স্নান,রাতে পাড়ায় পাড়ায় পিঠা উৎসব, ১৫ এপ্রিল রাজার মাঠে মৈত্রী পানি বর্ষন ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানসহ নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে শেষ হবে মারমা সম্প্রদায়ের এই এতিহ্যবাহী এবারের সাংগ্রাই উৎসবের।