fbpx

সাতক্ষীরায় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের বাড়িতে হামলা : আহত ১৩

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

সাতক্ষীরার শ্যামনগরে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের বাড়িতে হামলা করেছে দুর্বত্তরা। মঙ্গলবার রাতে কদমতলা গ্রামের তিনটি পরিবারের বসতবাড়ি ও একটি মন্দিরে ভাংচুর চালায় তারা। এতে আহত হয়েছে অন্তত ১৩ জন।

বুধবার গোবিন্দ বাউলিয়া নামের একজন বাদী হয়ে ১১ জনের নাম উল্লেখ করে থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন।
লিখিত অভিযোগে জানানো হয়, মুন্সিগঞ্জ ইউনিয়নের কদমতলা গ্রামে ৬০ থেকে ৭০ জনের একটি দুর্বৃত্ত দল হামলা চালায়। হামলায় আহত হয়েছেন অন্তত ১৩ জন। যার মধ্যে ৯ জনকে শ্যামনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। পূর্বশত্রুতার জের ধরে এই হামলা চালানো হয়েছে।

হামলার শিকার পিন্টু বাউলিয়া অভিযোগ করে বলেন, পল্লব মণ্ডল ও কদমতলা গ্রামের বাসিন্দা ইউপি সদস্য আকবর হোসেনের নেতৃত্বে ৬০-৭০ জন তরুণ এই হামলায় অংশ নেন। রাত আটটার দিকে ১৫-২০টি মোটরসাইকেল ও দুটি পিকআপে করে বংশীপুর এলাকা থেকে হামলাকারীরা আসেন। নগেন বাউলিয়া, সুভাষ বাউলিয়াসহ তিনজনের বসতঘর এবং পাশের রাশ মন্দিরের একটি প্রতিমা ভাঙচুর করা হয়। হামলাকারীরা ইটপাটকেল ছুড়তে ছুড়তে বাড়িতে ঢুকে পড়ে তার ভাইয়ের মেয়েকে উঠিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। এ সময় বাধা দিতে গিয়ে তার ভাইসহ পরিবারের ১৩ জন সদস্য আহত হন।

তবে পুলিশ বলছে ভিন্ন কথা। প্রেমঘটিত বিষয় নিয়ে এ হামলার ঘটানো ঘটেছে বলে জানিয়েছেন শ্যামনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুল হুদা।

তিনি জানান, ঘটনার রাতেই কয়েকজন পুলিশ নিয়ে কদমতলা গ্রামে যাই। আমরা যাবার আগেই হামলাকারীরা সেখান থেকে পালিয়ে যায়। প্রেমঘটিত একটি বিষয় নিয়ে ঘটনার সৃষ্টি হয়েছে। দুর্বৃত্তরা দুটি বসতবাড়ি ও একটি প্রতিমা ভাঙচুর করেছে। তারা কয়েকজনকে মারধর করে এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টি করেছিল। পুলিশ যাওয়ার পর পরিস্থিতি শান্ত হয়। ওই ঘটনায় জড়িত লোকজনকে ধরতে মাঠে নেমেছে পুলিশ।‘

Advertisement
Share.

Leave A Reply