fbpx

‘সাদা চামড়া দেখলেই নালিশ করতে ইচ্ছে করে, এই মানসিক দৈন্যতা কেনো?’

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

শ্রমিকদের জন্য এতোকিছু করার পরও বিদেশিদের কাছে শ্রমিকনেতাদের নালিশ করায় ক্ষুব্ধ হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী  শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, ‘আমরা যে শ্রমিকদের জন্য এত কাজ করেছি, তারপরেও আমরা দেখি যে আমাদের দেশে কিছু কিছু শ্রমিকনেতা আছেন, তারা কোনো বিদেশি বা সাদা চামড়া দেখলেই তাদের কাছে নালিশ করতে খুব পছন্দ করেন। আমি জানি না এই মানসিক দৈন্যতাটা কেন?’

‌’এর সঙ্গে কি অন্য কোনো স্বার্থ জড়িত আছে? কোনো দেনাপাওনার ব্যবস্থা আছে? সেটা আমি জানি না। নিজের দেশের সস্পর্কে অন্যের কাছে না বলে বা কেঁদে, কোনো দাবি-দাওয়া থাকলে আমাকে জানান’- শ্রমিকনেতাদের উদ্দেশে বলেন প্রধানমন্ত্রী।

রবিবার (৮ মে) মহান মে দিবস উপলক্ষ্যে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে শ্রমিকনেতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে সরকারপ্রধান বলেন, ‘বিদেশিদের কাছে গিয়ে কান্নাকাটি না করে আপনাদের যদি সমস্যা থাকে আমার কাছে আসবেন। আমি শুনব। মালিকদের দিয়ে যদি কিছু আদায় করতে হয়, তা আমি আদায় করে দেব। আমি পারব, এ কথা আমি বলতে পারি।

বাংলাদেশ কারও কাছে হাত পেতে নয় বরং আত্মমর্যাদা নিয়ে চলবে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘নিজেদের সমস্যা নিজেরা সমাধান করতে পারি।’

শ্রমিক কল্যাণে গঠিত শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশনে অনেক মালিক নিয়মিত অর্থ জমা না দেয়াকেও ‘দুঃখজনক’ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘শ্রমিক কল্যাণ তহবিলে অনেক শিল্প মালিক ঠিক মতো  টাকা দেন না। এটা দুঃখজনক। যে কোনো প্রতিষ্ঠান চালাতে গেলে মালিকের যেমন শ্রমিকের ওপর দায়িত্ব থাকবে, তেমনি শ্রমিকেরও মালিকের ওপর দায়িত্ব থাকবে। শ্রমিকরা সুস্থ পরিবেশ পাচ্ছে কিনা সেটা মালিকদের দেখতে হবে। তাতে উৎপাদনও বাড়বে, মালিক-শ্রমিক উভয়ই লাভবান হবে।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‌’শ্রমিক, দিনমজুর তথা খেটে খাওয়া মানুষের ভাগ্য উন্নয়ন করার জন্যই আমাদের রাজনীতি। সে লক্ষ্যেই কাজ করে যাচ্ছি। আমরা মানুষের কথা ভাবি, মানুষের কল্যাণে কাজ করি। আওয়ামী লীগ যখনই সরকারে এসেছে, তখনই এ দেশের শ্রমিকদের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য, কৃষকদের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য, মেহনতি মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য আমরা সব সময় চেষ্টা করেছি।’

একই অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধুতনয়া অঙ্গীকার করেন, ২০২৫ সালের মধ্যে দেশে কোনো শিশুশ্রম থাকবে না।

মে দিবসের আয়োজনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে ১০ শ্রমিক ও তাদের পরিবারকে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়। প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে সবার হাতে চেক তুলে দেন শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান।

জটিল কিডনি রোগের চিকিৎসায় শ্রমিক রমিজ উদ্দিন আহমেদকে ১ লাখ টাকা, দুই মৃত শ্রমিকের পরিবারকে দুই লাখ টাকা, দুই শ্রমিকের মেধাবী সন্তানদের শিক্ষাসহায়তা হিসেবে ৫০ হাজার টাকা এবং রপ্তানিমুখী শিল্পের মৃত ৫ শ্রমিকের পরিবারকে ২ লাখ টাকা করে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়।

Advertisement
Share.

Leave A Reply