বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারের কর্মকর্তা ও সাবেক শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদের তৎকালীন সহকারী একান্ত সচিব (এপিএস) মন্মথ রঞ্জন বাড়ৈকে চাকরিচ্যুত করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ। অসদাচরণ ও পলায়নের কারণে তাকে চাকরিচ্যুত করে এক প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
বিভাগীয় মামলার পর দীর্ঘদিন ধরে যাচাই-বাছাইসহ যাবতীয় প্রক্রিয়া শেষে সোমবার রঞ্জন বাড়ৈকে চাকরিচ্যুত করে প্রজ্ঞাপন জারি করে ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ।
মন্মথ রঞ্জন বাড়ৈর বিরুদ্ধে গত বছর পদায়নের ৯ মাস পরও কর্মস্থলে যোগ না দেওয়ায় অসদাচরণ ও পালিয়ে যাওয়ার অভিযোগ এনেছে মন্ত্রণালয়।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, সংস্কৃতি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মন্মথ রঞ্জন বাড়ৈ ২০২০ সালের ১২ এপ্রিল থেকে বিনা অনুমতিতে কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকেন। এ কারণে সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা অনুযায়ী, অসদাচরণ ও পলায়নের অভিযোগে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা করে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়। কিন্তু তিনি কারণ দর্শানো নোটিশের জবাব না দেওয়ায় বিধি অনুযায়ী বিষয়টি তদন্তের সিদ্ধান্ত হয়। তদন্তে মন্মথ রঞ্জন বাড়ৈর বিরুদ্ধে আনা অসদাচরণ ও পলায়নের অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়। দ্বিতীয় কারণ দর্শানো নোটিশ তার স্থায়ী ও কর্মস্থলের ঠিকানায় পাঠানো হলে ‘প্রাপক দেশে নেই’ বলে ডাক বিভাগ খামের গায়ে লাল কালি দিয়ে লিখিতভাবে জানায়।
যেহেতু মন্মথ রঞ্জন বাড়ৈয়ের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে, তাই বিধি অনুযায়ী গুরুদণ্ড হিসেবে তাকে চাকরি থেকে বরখাস্তের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। এই সিদ্ধান্তে সরকারি কর্ম কমিশনও একমত পোষণ করেছে। রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ এ বিষয়ে সম্মতি দিয়েছেন বলেও প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়।
২০০৯ সালে সাবেক শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে তার এপিএসের দায়িত্ব পালন করেন মন্মথ রঞ্জন বাড়ৈ। তখনই তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধরনের অভিযোগ ওঠে। একপর্যায়ে মন্মথ রঞ্জন বাড়ৈকে এপিএসের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়।
এদিকে শিক্ষা ক্যাডারের একাধিক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, মন্মথ রঞ্জন বাড়ৈ অনুমতি না নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে চলে গেছেন। বর্তমানে তিনি সেখানেই অবস্থান করছেন।
