সৌদি আরবের আসির প্রদেশে ভয়াবহ বাস দুর্ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৩ বাংলাদেশি ওমরাহ যাত্রী নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় ১৭ বাংলাদেশিকে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
বুধবার সৌদি আরবে বাংলাদেশ দূতাবাসের বরাতে এই তথ্য জানিয়েছেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সেহেলী সাবরীন।
সৌদি আরবের রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিভিশন আল আখবারিয়া জানিয়েছে, ওমরাহযাত্রীদের বাসটি খামিস মুশাইত শহর থেকে রওনা হয়ে মক্কায় যাচ্ছিল। স্থানীয় সময় সোমবার বিকাল ৪টার দিকে আসির প্রদেশের আকাবা শার সড়কে সেটি দুর্ঘটনায় পড়ে। একটি সেতুর ওপর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাসটি পাহাড়ি দেয়ালে ধাক্কা খায় এবং আগুন ধরে যায়। বাসটির ব্রেকে সমস্যা হয়েছিল বলেও জানানো হয়েছে।
মঙ্গলবার রাতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও সৌদি আরবে বাংলাদেশ দূতাবাস জানায়, বাসে মোট ৪৭ জন যাত্রীর মধ্যে ৩৫ জনই ছিলেন বাংলাদেশি। দুর্ঘটনায় ২২ জন নিহত এবং তার মধ্যে বাংলাদেশি ৮ জনের পরিচয় নিশ্চিত হয়েছিল। এরপর আরও পাঁচ জনের পরিচয় জানা যায়।
নিহত ১৩ জন বাংলাদেশি হলেন- কক্সবাজারের মহেশখালীর সিফাত উল্লাহ, কুমিল্লার দেবিদ্বারের গিয়াস হামিদ, যশোরের কোতোয়ালির মোহাম্মদ নাজমুল, যশোরের রনি এবং কক্সবাজারের মোহাম্মদ হোসেন নোয়াখালীর সেনবাগের শরিয়তউল্লাহর ছেলে শহিদুল ইসলাম, কুমিল্লার মুরাদনগরের আব্দুল আউয়ালের ছেলে মামুন মিয়া, নোয়াখালীর মোহাম্মদ হেলাল, লক্ষ্মীপুরের সবুজ হোসাইন, কুমিল্লার মুরাদ নগরের রাসেল মোল্লা, কক্সবাজারের মহেশখালীর মো. আসিফ, গাজীপুরের টঙ্গীর আব্দুল লতিফের ছেলে মো. ইমাম হোসাইন রনি, চাঁদপুরের কালু মিয়ার ছেলে রুক মিয়া।
সেহেলী সাবরীন বলেন, “ভিন্ন দেশি ১২ জন যাত্রীর মধ্যে ৫ জনকে মৃত এবং ৭ জনকে আহত অবস্থায় বিভিন্ন হাসপাতালে শনাক্ত করা সম্ভব হয়েছে বলে জানা যায়।”
দুর্ঘটনায় আহত হয়ে সৌদি আরবের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ১৩ জন এবং হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা নেওয়া চারজন বাংলাদেশির পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার কথাও জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের আবুল বাশারের ছেলে সালাহউদ্দিন, ভোলার আল আমিন, লক্ষীপুরের রায়পুরার সিরাজুল্লাহর ছেলে মিনহাজ, চাঁদপুরের কচুয়ার মো. জয়নালের ছেলে জুয়েল, মাগুরার শালিখার জাকির মোল্লার ছেলের আফ্রিদি মোল্লা, লক্ষ্মীপুরের চন্দ্রগঞ্জের আবু সাইদের ছেলের মো. রিয়াজ, কুমিল্লার লাকসামের আইয়ুব আলীর ছেলে দেলোয়ার হোসাইন, নোয়াখালীর সেনবাগের আব্দুল লতিফের ছেলে মোহাম্মদ শাহাবুদ্দিন, কুমিল্লার মুরাদনগরের আব্দুল মালেকের ছেলে ইয়ার হোসাইন ও মো. জজ মিয়ার ছেলে মো. জাহিদুল ইসলাম, মাগুরার মোহাম্মদপুরের ফজলুর রহমানের ছেলে মিজানুর রহমান, যশোর সদরের কাজী আনোয়ার হোসাইনের ছেলে মো. মোশাররফ হোসাইন এবং মো. সেলিম। মো. সেলিমের ঠিকানা এখনো পাওয়া যায়নি।
এর বাইরে আব্দুল হাই, রানা, হোসাইন আলী, এবং কুদ্দুস নামে ৪ জন চিকিৎসা নিয়ে হাসপাতাল ছেড়ে গিয়েছেন বলে জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।