fbpx

স্টয়নিস-ওয়েডের ব্যাটে ফাইনালে অস্ট্রেলিয়া

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

পাকিস্তানের জয়রথ থামালো অস্ট্রেলিয়া। জয়ের আশা জাগিয়েও শেষ অব্দি জয় নিয়ে মাঠ ছাড়তে পারেনি বাবর আজমের দল। ১৭৭ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে মার্কাস স্টয়নিস এবং ম্যাথু ওয়েডের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে অস্ট্রেলিয়া জিতেছে পাঁচ উইকেটে। ১৭ বলে ৪১ রানে অপরাজিত ছিলেন ওয়েড, স্টয়নিস করেছেন ৩১ বলে ৪০*। পাকিস্তানের হয়ে ২৬ রানে ৪ উইকেট নিয়েছেন শাদাব খান।

স্টয়নিস-ওয়েডের ব্যাটে ফাইনালে অস্ট্রেলিয়া

টানা তিন ছক্কায় দলকে এনে দিয়েছেন জয়।

টসে হেরে প্রথমে ব্যাটিংয়ে পাকিস্তান। ইতিহাস বলে এখানে পরে ব্যাটিং করা দল বেশী ম্যাচ জিতেছে। তাতে কি! বাবর আজমের দলের কাছে যে দুবাই ঘরেরই মাঠ! তাদের চেয়ে ভালো এই কন্ডিশনকে কেই বা চেনে! প্রথমে ব্যাট করতে নেমে সেটাই যেনো প্রমাণ করেছেন মোহাম্মদ রিজওয়ান- ফখর জামানরা। প্রথম উইকেট জুটিতেই বাবর-রিজওয়ান দলকে এনে দিয়েছেন ৭১ রান, তাদের তৈরী করে দেওয়া প্ল্যাটফর্মেই পরবর্তীতে আলো ছড়িয়েছেন ফখর।

স্টয়নিস-ওয়েডের ব্যাটে ফাইনালে অস্ট্রেলিয়া

দু’জনের ব্যাটে ভর করে পাকিস্তানের সংগ্রহ ১৭৬।

বিশ্বকাপে পাকিস্তান দলের প্রত্যেকেই রান পেলেও ফখরই শুধু পাচ্ছিলেন না রানের দেখা। রান করার ক্ষুধাটা তাই মিটিয়েছেন অজিদের বিপক্ষেই। ৫৫ রানে ছিলেন অপরাজিত, দলকে এনে দিয়েছেন ১৭৬ রানের বড় সংগ্রহ। পাকিস্তানের রানটা আরও কম হতে পারতো, যদি স্টিভেন স্মিথের হাত ফসকে ৪০ রান করা ফখরের ক্যাচটা বেড়িয়ে না যেতো! পুরো ম্যাচ জুড়েই ফিল্ডিংটা ভুগিয়েছে অজিদের, সেইসাথে বোলিংয়ে ‘নো বল’ গুলোতে এসেছে বাউন্ডারি। সবমিলে প্রথম ইনিংস শেষে নিরাশ হয়েই মাঠ ছেড়েছে অস্ট্রেলিয়া দল।

স্টয়নিস-ওয়েডের ব্যাটে ফাইনালে অস্ট্রেলিয়া

শাদাব নিয়েছেন চার উইকেট।

১৭৭ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে দুর্দান্ত শুরু শাহীন শাহ আফ্রিদির, দ্বিতীয় বলেই তুলে নিয়েছেন উইকেট। শাহীনের দুর্দান্ত ইনসুইংয়ে পরাস্ত হয়ে শূন্য রানেই প্যাভিলিয়নে অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চ। অধিনায়ক ফিরলেও প্রতিরোধ গড়ে দলকে ঠিকই এগিয়ে নিয়েছেন ডেভিড ওয়ার্নার-মিচেল মার্শ জুটি। দুজনে মিলে তৃতীয় উইকেট জুটিতে যোগ করেছেন ৫১ রান; পাওয়ারপ্লে শেষ হতেই শাদাব খানকে স্লগ সুইপ করতে গিয়ে স্কয়ার লেগে ক্যাচ দিয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরেছেন মার্শ।

মার্শ ফিরলেও দলকে জয়ের পথেই এগিয়ে নিচ্ছিলেন ওয়ার্নার। কিন্তু, ১১ তম ওভারের প্রথম বলে শাদাব খানকে কাট করতে গিয়ে উইকেটকিপারের হাতে বল তুলে দিয়ে আম্পায়ারের দেয়া আউটের সিদ্ধান্তটা মেনে নিয়ে কোনো রিভিউ না নিয়েই চলে গেলেন প্যাভিলিয়নে। অথচ, বলটা ব্যাটেই যে লাগেনি অজি তারকার, নিজেও কি পারেননি বুঝতে?

স্টয়নিস-ওয়েডের ব্যাটে ফাইনালে অস্ট্রেলিয়া

ওয়ার্নার আউট না হয়েও হয়েছেন ‘আউট’!

ম্যাচটা হারলে ওয়ার্নার হয়তো আক্ষেপে মরতেন। ভাগ্যিস সেটা হয়নি। বরং বলা ভালো মার্কাস স্টয়নিস-ম্যাথু ওয়েড হতে দেয়নি। স্টিভেন স্মিথ, গ্লেন ম্যাক্সওয়েল দ্রুত ফিরে গেলে জয়টাকে অনেক দূরের মনে হচ্ছিলো অজিদের জন্য। কিন্তু, সেই দুরত্বটাকেই দুইজনে মিলে ঘুচিয়েছেন এক ওভার হাতে রেখেই। ৮১ রানের জুটিতে দলকে এনে দিয়েছেন জয়, সেইসাথে করেছেন ফাইনাল নিশ্চিত।

ম্যাচ শেষে হাসান আলীর খুব আক্ষেপ হওয়ার কথা। ম্যাথু ওয়েডের যখন ২৩ রান, তখন যে সহজ ক্যাচটা ছেড়েছেন পাকিস্তানি পেসার! জীবন পেয়ে টানা তিন বলে তিন ছক্কা হাঁকিয়ে দলকে জয় এনে দিয়েছেন সেই ওয়েডই।

Advertisement
Share.

Leave A Reply