fbpx

স্বপ্নের বঙ্গবন্ধু টানেল উদ্বোধন আজ

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

কর্ণফুলী নদীর তলদেশে নির্মিত বহুল প্রত্যাশিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল আজ উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর মধ্য দিয়ে টানেলের যুগে প্রবেশ করবে বাংলাদেশ।রচিত হতে চলেছে ইতিহাসের নতুন এক অধ্যায়।

শনিবার (২৮ অক্টোবর) সকাল ১১টায় পতেঙ্গায় কর্ণফুলী নদীর পশ্চিম তীরে এবং টানেল পার হয়ে আনোয়ারায় নদীর দক্ষিণ তীরে আরেকটি ফলক উন্মোচন করবেন তিনি।

১০ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত ৩ দশমিক ৩২ কিলোমিটার দীর্ঘ টানেলের পতেঙ্গাপ্রান্তে উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী। এরপর সকাল ১০টায় কোরিয়ান ইপিজেড আনোয়ারাপ্রান্তে টানেল উদ্বোধন উপলক্ষ্যে এক জনসভায় ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী। সভাপতিত্ব করবেন সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

এ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী চট্টগ্রামে কয়েকটি প্রকল্পের উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন। প্রধানমন্ত্রী একটি বিশেষ স্মারক ডাকটিকিট, উদ্বোধনী দিনের খাম এবং প্রথম পানির নিচের সড়ক টানেলের উদ্বোধন উপলক্ষে একটি বিশেষ সীলমোহরও প্রকাশ করবেন।

টানেল উদ্বোধন উপলক্ষ্যে দেওয়া এক বাণীতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল এ অঞ্চলে নতুন মাত্রার উন্নত প্রযুক্তিসম্পন্ন সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থার সূচনা করে স্মার্ট বাংলাদেশের যাত্রা পথে আমাদের আরও একধাপ এগিয়ে দিয়েছে। এ প্রকল্প বাস্তবায়নে নিয়োজিত সর্বস্তরের দেশি-বিদেশি প্রকৌশলী, পরামর্শক, বিশেষজ্ঞ প্যানেল, সেতু বিভাগ ও বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের কর্মকর্তা-কর্মচারী, নিরাপত্তা তদারকিতে নিয়োজিত বাংলাদেশ নৌবাহিনী এবং নির্মাণ শ্রমিকসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে তাদের অবদান ও অক্লান্ত পরিশ্রমের জন্য অভিবাদন জানান তিনি।

টানেল উদ্বোধন উপলক্ষে জেলাজুড়ে উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করায় আওয়ামী লীগের চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা শাখা এ সমাবেশের আয়োজন করছে। দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, বহু প্রতীক্ষিত বঙ্গবন্ধু টানেলের উদ্বোধনের জন্য চট্টগ্রামের পাশাপাশি সারাদেশ অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে বলে সকল প্রস্তুতি শেষ পর্যায়ে রয়েছে।

প্রকল্পের বিবরণ অনুযায়ী পুরো রুটের দৈর্ঘ্য ৯.৩৯ কিলোমিটার (৫.৮৩ মাইল), টানেলটি ৩.৩২ কিলোমিটার (২.০৬ মাইল) দৈর্ঘ্য তৈরি করে এবং এর ব্যাস ১০.৮০ মিটার (৩৫.৪ ফুট)। এটি ১০,৩৭৪ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত হয়েছে এবং এর প্রায় অর্ধেক চীনের এক্সিম ব্যাংক অর্থায়ন করেছে।

এতে ঢাকা-চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক নেটওয়ার্ক উন্নত হবে। চীনের একটি কোম্পানি চায়না কমিউনিকেশনস কনস্ট্রাকশন কোম্পানি এটি নির্মাণ করেছে।

টানেল দিয়ে চলাচলকারী গাড়ির টোল নির্ধারণ করা হয়েছে। টোলের হার- কার, জিপ, পিকআপ ২০০ টাকা, মাইক্রোবাস ২৫০ টাকা, বাস (৩১ সিট পর্যন্ত) ৩০০ টাকা, ৩১ সিটের বেশি ৪০০ টাকা, বাস থ্রি এক্সেল ৫০০ টাকা, ট্রাক ৫ টন পর্যন্ত ৪০০ টাকা, ট্রাক ৫ থেকে ৮ টন পর্যন্ত ৫০০ টাকা, ৮ টন থেকে ১১ টন পর্যন্ত ৬০০ টাকা, ট্রাক থ্রি এক্সেল ৮০০ টাকা, টেইলার ফোর এক্সেল এক হাজার টাকা, ফোর এক্সেল থেকে বেশি এক হাজার টাকার সঙ্গে প্রতি স্কেল ২০০ টাকা হারে যোগ হবে।

প্রসঙ্গত, দুই দফা ব্যয় সংশোধন করে এই প্রকল্পে ব্যয় হচ্ছে ১০ হাজার ৬৮৯ কোটি টাকা। মোট ব্যয়ের ৪০ শতাংশ বাংলাদেশ সরকার ও বাকি ৬০ শতাংশ অর্থ সহায়তা প্রদান করেছে চীনের এক্সিম ব্যাংক। টানেলের পুরো রুটের দৈর্ঘ্য হলো ৯.৩৯ কিলোমিটার (৫.৮৩ মাইল), সুড়ঙ্গটির দৈর্ঘ্য ৩.৩২ কিলোমিটার (২.০৬ মাইল) ও এর ব্যাস ১০.৮০ মিটার (৩৫.৪ ফুট)। বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না কমিউনিকেশন কনস্ট্রাকশন কোম্পানি লিমিটেড (সিসিসিসিএল)। ২০০৮ সালে নির্বাচনের আগে চট্টগ্রামের লালদীঘি ময়দানে নির্বাচনি জনসভায় টানেল নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী, আজকের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এবং ক্ষমতা গ্রহণের পরই তিনি টানেল নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করেন। তারই ধারাবাহিকতায় ২০১৪ সালের জুনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চীন সফরকালে কর্ণফুলী নদীর তলদেশে টানেল নির্মাণের জন্য বাংলাদেশ-চীন সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং ২০১৬ সালের ১৪ অক্টোবর কর্ণফুলী টানেলের নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করেন।

Advertisement
Share.

Leave A Reply