fbpx

স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিতে মাঠে দুই সিটির মোবাইল কোর্ট

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

স্বাস্থ্যবিধিসহ লকডাউনের বিধিনিষেধ পর্যবেক্ষণে বুধবার ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ১১ টি ভ্রাম্যমান আদালত অভিযান পরিচালনা করে।

ডিএসসিসির নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ইরফান উদ্দিন আহমেদ ওয়ারী এলাকায় নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের দোকান, ওষুধের দোকান ছাড়া অন্যান্য ২০টিরও বেশি দোকান বন্ধ করে দেন। এ সময় তিনি মানুষজনকে মাস্ক পড়তে উদ্বুদ্ধ করেন।
ঢাকা দক্ষিন সিটির অঞ্চল-১ এর নির্বাহী কর্মকর্তা আনিক মেরিনা নাজনিন কাঁটাবন, ধানমন্ডি ও গ্রীন রোড এলাকায় অভিযান পরিচালনা করেন।

মেরিনা নাজনিন বলেন, ‘অভিযানে কাঁটাবনের অষ্টব্যঞ্জন রেস্টুরেন্টের ভেতরে ৮ জন ব্যক্তিকে খাবার পরিবেশন করায়, ধানমন্ডির কেএফসি’র কর্মীরা ফুটপাথ দখল করে তাদের মোটর সাইকেল রাখায় এবং গ্রিন রোডের বেস্ট বাই নামক ভ্যারাইটি শপ অনুমেদনহীনভাবে খোলা রাখায় জরিমানা করেছি। আজকের অভিযানে মোট ৬টি মামলা দায়ের এবং সেসব মামলায় মোট ২৪ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে।‘

ডিএসসিসির অঞ্চল-২ এর নির্বাহী কর্মকর্তা আনিক সোয়ে মেন জো বলেন, ‘খিলগাঁও-বাসাবো এলাকায় পরিচালিত অভিযানে আমরা বিভিন্ন অলিতে-গলিতে যেমন অভিযান পরিচালনা করছি তেমনি গণপরিবহনে স্বাস্থ্য বিধি মানা হচ্ছে কিনা সেটাও তদারকি করেছি। এ সময় গণপরিবহনগুলোতে স্বাস্থ্য বিধি না মেনে যাতায়াত করা এমন ৪ পরিবহন চালককে মাস্ক না পরার অপরাধে উপস্থিত জনতার সামনে কান ধরে উঠবস করানো হয় এবং পরবর্তীতে মাস্ক পড়ার অঙ্গীকারের ভিত্তিতে তাদেরকে ছেড়ে দেওয়া হয়।

করোনা ভাইরাস থেকে জনগণকে সুরক্ষিত রাখতে স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিতকল্পে বুধবার বিভিন্ন এলাকায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) 

মিরপুর-১০ অঞ্চলের আঞ্চলিক নিবার্হী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সালেহা বিনতে সিরাজের নেতৃত্বে মিরপুর ১৪ নম্বর সেকশন এলাকায় মোবাইল কোর্ট পরিচালিত হয়। এ সময় মাস্ক ছাড়া রাস্তায় ঘোরাঘুরির অপরাধে ৭ জনকে মোট ৭০০ টাকা জরিমানা করা হয়।

কারওয়ান বাজার অঞ্চলের আঞ্চলিক নিবার্হী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাসুদ হোসেনের নেতৃত্বে মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেট এলাকায় মাস্ক না পরে বাইরে বের হওয়ার অপরাধে ৫৪ জনকে মোট ৫ হাজার ৪০০ টাকা জরিমানা করা হয়।
দক্ষিণখান অঞ্চলের আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোতাকাব্বীর আহমেদ এর নেতৃত্বে হাজী ক্যাম্প ও দক্ষিণখান বাজার এলাকায় মোবাইল কোর্ট পরিচালিত হয়। এসময় ৫টি হোটেলে সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে খাবার পরিবেশন করা এবং অন্যান্য অপরাধে মোট ৪১ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।

সম্পত্তি কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল্লাহ আল মামুনের নেতৃত্বে ভাটারা অঞ্চলে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে ৭ টি মামলায় মোট ১০ হাজার ৭০০ টাকা জরিমানা আদায় করে।

মোবাইল কোর্ট চলাকালে জনগণকে সরকার ঘোষিত নিষেধাজ্ঞা প্রতিপালনে সচেতন করা হয়। স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতে ডিএনসিসির মোবাইল কোর্ট অব্যাহত থাকবে বলেও জানায় ডিএনসিসির কর্মকর্তারা।

Advertisement
Share.

Leave A Reply