fbpx

স্বাস্থ্যবিধি মেনে মসজিদসহ যাওয়া যাবে সব ধর্মীয় উপাসনালয়ে

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

কঠোর লকডাউন চলাকালীন স্বাস্থ্যবিধি মেনে মসজিদ, মন্দিরসহ ধর্মীয় উপাসনালয়ে যাওয়া যাবে বলে জানিয়েছে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়।

বৃহস্পতিবার সকালে ১লা জুলাই থেকে ৭ দিনের কঠোর লকডাউন ঘোষণার পর বিকেলে ধর্ম মন্ত্রণালয় মসজিদসহ ধর্মীয় উপাসনালয়ে যাওয়ার বিষয়ে বিধিনিষেধ সম্বলিত এক জরুরি বিজ্ঞপ্তি জারি করে।

সকল ধর্মের ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান এবং মসজিদসমূহে জামায়াতের নামাজের জন্য কিছু শর্ত মানতে হবে বলে জানানো হয় এ বিজ্ঞপ্তিতে।

শর্তগুলো হলো:
১. মসজিদের প্রবেশদ্বারে হ্যান্ড স্যানিটাইজার বা হাত ধোয়ার ব্যবস্থাসহ সাবান-পানি রাখতে হবে এবং মুসল্লিদেরকে অবশ্যই মাস্ক পরে মসজিদে আসতে হবে।

২. প্রত্যেককে নিজ নিজ বাসা থেকে ওযু করে, সুন্নাত নামাজ ঘরে আদায় করে মসজিদে আসতে হবে এবং ওযু করার সময় কমপক্ষে ২০ সেকেন্ড সাবান দিয়ে হাত ধুতে হবে।

৩. মসজিদে কার্পেট বিছানো যাবে না। পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের পূর্বে সম্পূর্ণ মসজিদ জীবানুনাশক দ্বারা পরিস্কার করতে হবে।

৪. মুসল্লিদের প্রত্যেককে নিজ নিজ দায়িত্বে জায়নামাজ নিয়ে আসতে হবে।

৫. নামাজে দাঁড়ানোর ক্ষেত্রে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে হবে।

৬. শিশু, বয়বৃদ্ধ, যে কোনো অসুস্থ ব্যক্তি এবং অসুস্থদের সেবায় নিয়োজিত ব্যক্তি জামায়াতে অংশগ্রহণ করা হতে বিরত থাকবে।

৭. সংক্রমণ রোধ নিশ্চিতকল্পে মসজিদের ওযুখানায় সাবান/হ্যান্ড স্যানিটাইজার রাখতে হবে।

৮. মসজিদে সংরক্ষিত জায়নামাজ ও টুপি ব্যবহার করা যাবে না।

৯. সর্বসাধারণের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ, স্থানীয় প্রশাসন এবং আইন শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণকারী বাহিনীর নির্দেশনা অবশ্যই অনুসরণ করতে হবে।

১০. অন্যান্য সকল ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান বা উপাসনালয়ে প্রবেশের ক্ষেত্রেও মাস্ক পরিধান, হ্যান্ড স্যানিটাইজার বা সাবান দিয়ে হাত ধোয়াসহ স্বাস্থ্যবিধি মেনে সামাজিক ও শারীরিক দূরত্ব যথাযথভাবে অনুসরণ করতে হবে।

এসব নির্দেশনা না মানলে স্থানীয় প্রশাসন ও আইন শৃঙ্খলা বাহিনী তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে পারবে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।

Advertisement
Share.

Leave A Reply