fbpx

হজ যাত্রীদের ফিরতি ফ্লাইট শুরু

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

হজ যাত্রীদের নিয়ে সৌদি আরব থেকে বিমানের ফিরতি ফ্লাইট শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৪ জুলাই) থেকে শুরু হওয়া এই ফিরতি ফ্লাইট শেষ হবে আগামী ১৪ আগস্ট।

শনিবার সৌদি আরবে আনুষ্ঠানিকভাবে হজ কার্যক্রম শেষ হয়। এরপর থেকেই নিজ নিজ দেশের পথে ফিরতে শুরু করেছেন হাজিরা।

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের প্রথম ফিরতি ফ্লাইটটি জেদ্দা থেকে ৪১৯ হাজি নিয়ে দেশের উদ্দেশে যাত্রা করার কথা রয়েছে। হযরত শাহজালাল বিমানবন্দরে রাত ১০টায় ফ্লাইটটির পৌঁছানোর কথা।

করোনার কারণে দুই বছর বন্ধ থাকার পর চলতি বছর ৫ জুন বাংলাদেশ থেকে ৪১০ জন হজযাত্রী নিয়ে হজের ফ্লাইট পরিচালনা শুরু হয়। আর মঙ্গলবার (৫ জুলাই) এবছর হজের শেষ ফ্লাইট ঢাকা ছেড়ে সৌদি আরবের পবিত্র মক্কা নগরীতে পৌঁছায়।

এ বছর বাংলাদেশ থেকে ৬০ হাজার ১৩৯ জন হজযাত্রীর সবাই সৌদি আরব পৌঁছেছেন। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস, সৌদি এয়ারলাইনস ও নাস এয়ারের মোট ১৬৪টি ফ্লাইটে তারা সৌদি আরব গেছেন। বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

যেখানে বলা হয়, বিমানের ৮৭টি ফ্লাইটে ৩০ হাজার ৩৬১ জন, সৌদিয়ার ৬৩টি ফ্লাইটে ২৩ হাজার ৯১৪ জন ও নাস এয়ারের ১৪টি ফ্লাইটে ৫ হাজার ৮৬৪ জন সৌদি আরব গিয়েছেন।

গত শুক্রবার (৮ জুলাই) স্বাভাবিক পরিবেশে পলিত হয় পবিত্র হজ। শুক্রবার হজের মূল আনুষ্ঠানিকতায় সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত আরাফাতের ময়দানে অবস্থান করেন মুসল্লিরা। এবারের হজে অংশ নেয় প্রায় ১০ লাখ মুসল্লি।

মুসল্লিরা সূর্যাস্ত পর্যন্ত আরাফাতে অবস্থানের পর মুজদালিফায় গিয়ে মাগরিব ও এশার নামাজ আদায় করেন। রাতে সেখানে খোলা মাঠে অবস্থান করে শয়তানের প্রতিকৃতিতে পাথর নিক্ষেপের জন্য প্রয়োজনীয় পাথর সংগ্রহ করেন তারা।

আর শনিবার মুজদালিফায় ফজরের নামাজ আদায় করে মিনায় ফিরে যান হাজিরা। সেখান থেকে মক্কায় গিয়ে পবিত্র কাবা শরিফ সাতবার তাওয়াফ করেন। এরপর মিনায় শয়তানের উদ্দেশ্যে পাথর নিক্ষেপ ও মক্কায় বিদায়ি তাওয়াফ করার মধ্য দিয়ে শেষ হয় হজের আনুষ্ঠানিকতা।

মুসলিম ধর্মানুসারীদের বিশ্বাস, আদিপিতা হযরত আদম (আ.) ও মা হাওয়া (আ.) পৃথিবীতে পুনর্মিলনের পর এই আরাফাতের ময়দানে এসে আল্লাহর কাছে কৃতজ্ঞতা জানিয়েছিলেন। এই ময়দানেই শেষ নবী হযরত মুহাম্মদ (স.) বিদায় হজের ভাষণ দিয়েছিলেন।

Advertisement
Share.

Leave A Reply