fbpx

হুয়াওয়েকে বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান পলকের

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

হুয়াওয়ে টেকনোলজিস (বাংলাদেশ) লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী প্যান জুনফেংকে সম্বোধন করে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্ভাবনাময়ী বাজার হিসেবে বাংলাদেশে বিনিয়োগ করার আহ্বান জানিয়েছেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্‌মেদ পলক।

তিনি বলেন, ‘আমি আশা করবো হুয়াওয়ে যেনো বাংলাদেশে তাদের অ্যাসেম্বেল প্লান্ট স্থাপন করে। তারা যদি বাংলাদেশে ল্যাপটপ তৈরি করে, তবে আমরা তা সরকারি ক্রয় প্রক্রিয়ায় অন্তর্ভুক্ত করতে সহজ হবে।’

বুধবার হুয়াওয়ে আয়োজিত ‘আইসিটি ইনকিউবেটর ২০২২’ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্‌মেদ পলক বলেন, “একটি স্টার্টআপ প্রতিষ্ঠান থেকে মাত্র ৩৫ বছরে হুয়াওয়ে আজকে বিশাল একটি প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। এ বিষয়টি স্টার্টআপ প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য অনুপ্রেরণা হতে পারে। আইসিটি বিভাগের সাথে হুয়াওয়ে তিনটি চলমান প্রকল্পে সম্পৃক্ত রয়েছে। এজন্য হুয়াওয়েকে আমি ধন্যবাদ জানাই। পাশাপাশি, বাংলাদেশের তথ্য প্রযুক্তি খাতে ইতিবাচক ভূমিকা রাখতে ও ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে সহায়তা প্রদানে হুয়াওয়ে যেনো বাংলাদেশকে গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করে, সে অনুরোধ জানাই। হুয়াওয়ে আইসিটি ইনকিউবেটর-২০২২ এ অংশ নেয়া সকল অংশগ্রহণকারী ও বিজয়ীদের জন্য শুভকামনা।”

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সাধারণ গাণিতিক সমাধানে পরিণত হচ্ছে উল্লেখ করে পলক বলেন, চতুর্থ শিল্প বিপ্লবে বিকাশমান প্রযুক্তির সমাধানগুলোই অর্থনীতির চালিকা শক্তিতে পরিণত হবে। গণিত ছাড়া আমরা কিছুই করতে পারবো না। কৃত্রিমবুদ্ধিমত্তা ছাড়া আগামীতে ব্যবসায় করা কঠিন হয়ে পড়তে পারে। রোবটিকস ও ডেটা এনালিটিক্স দক্ষতা ছাড়া কৃষি, স্বাস্থ্য ও শিক্ষা কার্যক্রম চালানোও কঠিন হয়ে পড়বে।

হুয়াওয়ে টেকনোলজিস (বাংলাদেশ) লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী প্যান জুনফেংকে সম্বোধন করে হুয়াওয়েকে বাংলাদেশে বিনিয়োগ করার আহ্বান জানান তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘আমি আশা করবো হুয়াওয়ে যেনো বাংলাদেশে তাদের অ্যাসেম্বেল প্লান্ট স্থাপন করে। তারা যদি বাংলাদেশে ল্যাপটপ তৈরি করে, তবে আমরা তা সরকারি ক্রয় প্রক্রিয়ায় অন্তর্ভুক্ত করতে সহজ হবে।’

বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিং অনুষ্ঠানে বলেন, “চীন ও বাংলাদেশ সহযোগিতার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ কৌশলগত অংশীদার এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতা ও অভিন্ন স্বার্থের ভিত্তিতে কাজ করে। ২০১০ সাল থেকে বারো বছর ধরে চীন বাংলাদেশের বৃহত্তম ব্যবসায়িক অংশীদার হিসেবে ভূমিকা রাখছে এবং এফডিআই -এও গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। সাম্প্রতিক সময়ে, চীনের ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলো বাংলাদেশ অবকাঠামো, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিগত ক্ষেত্রে তাদের বিনিয়োগ বৃদ্ধি করেছে। এসব খাতের মধ্যে আইসিটি খাত অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও সম্ভাবনাময়। আমি আত্মবিশ্বাসী, এ দুই দেশ আরও ভালোভাবে আইসিটি খাতে সহযোগিতার ভিত্তিতে কাজ করতে পারবে এবং আমার মনে হয় চীন ও বাংলাদেশ উভয়ই এর সুফল পাবে।”

‘আইসিটি ইনকিউবেটর ২০২২’ প্রোগ্রামের মাধ্যমে দেশসেরা ছয়টি স্টার্টআপ বা উদ্যোগ বেছে নিয়েছে প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান হুয়াওয়ে। বিজয়ী স্টার্টআপগুলো এ খাত সম্পর্কে আরও জানতে জন্য বিশ্বের অন্যান্য সফল স্টার্টআপের প্রতিনিধিদের সাথে দেখা করার সুযোগ পাবেন। এছাড়াও, পুরস্কার হিসেবে সিড মানিও পাবেন তারা।

এই প্রতিযোগিতায় ‘আইডিয়া স্টেজ’ ও ‘আর্লি স্টেজ’ – এই দু’টি গ্রুপ থেকেই তিন জন করে বিজয়ী নির্বাচিত করা হয়েছে। ‘আইডিয়া স্টেজ’(Idea Stage) -এ বিজয়ী স্টার্টআপগুলো হচ্ছে: ইনসিউরকাউ (চ্যাম্পিয়ন), দুর্জয় ডিএসএস (প্রথম রানার্স আপ) ও রিল্যাক্সি (দ্বিতীয় রানার্স আপ)। এবং আর্লি স্টেজে (Early Stage) বিজয়ী স্টার্টআপগুলো হচ্ছে: জাহাজী লিমিটেড (চ্যাম্পিয়ন), পালকি (প্রথম রানার্স আপ) ও উইগ্রো টেকনোলোজিস লিমিটেড (দ্বিতীয় রানার্স আপ)।

চ্যাম্পিয়ন স্টার্টআপ পুরস্কার হিসেবে পাবে ৫ লাখ টাকা এবং ১ লাখ ২৫ হাজার মার্কিন ডলার সমমূল্যের হুয়াওয়ে ক্লাউড ক্রেডিট। অন্যদিকে প্রথম ও দ্বিতীয় রানার্স আপ পাবে যথাক্রমে ৩ লাখ ও ১ লাখ টাকা প্রাইজ মানি এবং ৮০ হাজার মার্কিন ডলার সমমূল্যের হুয়াওয়ে ক্লাউড ক্রেডিট। এছাড়াও, প্রত্যেক স্টার্টআপের একজন সহ-প্রতিষ্ঠাতা দেশের বাইরে সফল স্টার্টআপের প্রতিনিধিদের সাথে দেখা করা সুযোগ পাবেন।

বিজয়ীদের নির্ধারণ করার জন্য স্টার্টআপ বাংলাদেশ, আইডিয়া, হুয়াওয়ে বাংলাদেশ এবং বাংলাদেশের স্টার্টআপ ইকোসিষ্টেমের অন্যান্য স্বনামধন্য ব্যাক্তিদের সমন্বয়ে একটি স্বাধীন বিচারকদের প্যানেল গঠন করা হয়। তাদের উপস্থিতিতে বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্‌মেদ পলক।  বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থতি ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত গণপ্রজাতন্ত্রী চীনের মাননীয় রাষ্ট্রদূত লি জিমিং। এছাড়াও আরও উপস্থতি ছিলেন ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক ভিনসেন্ট চ্যাং, পিএইচ.ডি., হুয়াওয়ে টেকনোলজিস (বাংলাদেশ) লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী প্যান জুনফেং, স্টার্টআপ বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সামি আহমেদ, আইসিটি বিভাগের বিসিসি’র প্রকল্প পরিচালক (যুগ্ম সচিব) মো. আলতাফ হোসেন।

Advertisement
Share.

Leave A Reply