এখন থেকে ১২ বছরের বেশি সবাইকে করোনাভাইরাসের টিকা পাবে। পাশাপাশি ৪০ বছরের বেশি সবাইকে বুস্টার ডোজ দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
রবিবার (৩০ জানুয়ারি) মহাখালীর বাংলাদেশ কলেজ অব ফিজিশিয়ান্স অ্যান্ড সার্জনস মিলনাতনে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান।
তিনি বলেন, ১২ বছরের বেশি বয়সীরা নিবন্ধন করেই টিকা নিতে পারবে। আর যদি নিবন্ধন করতে না পারেন, সেক্ষেত্রে জন্মনিবন্ধন কার্ড নিয়ে কেন্দ্রে গেলে টিকা নিতে পারবে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা এখন ১২ বছর বয়স থেকে শিক্ষার্থীদের টিকা দিচ্ছি। এখন এটা সবার জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হলো।’
জাহেদ মালেক আরও জানান, এখন থেকে ৪০ বছরের বেশি বয়সী সবাই করোনাভাইরাসের টিকার তৃতীয় বা বুস্টার ডোজ দেওয়া হবে। আর আজ রবিবার থেকেই সেটি শুরু হচ্ছে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘৫০ বছরে কমিয়ে আনার পরও দেখা গেছে, খুব বেশি মানুষকে বুস্টার ডোজের আওতায় আনা যাচ্ছে না। এ কারণে বয়সসীমা আরও কমিয়ে এনেছি। আমাদের হাতে বুস্টার ডোজ দেওয়ার মত পর্যাপ্ত টিকা আছে।‘
গতবছর ১ নভেম্বর থেকে ঢাকায় ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সী স্কুল শিক্ষার্থীদের কোভিড টিকাদান কর্মসূচি শুরু হয়। জানুয়ারি মাসে সেই কার্যক্রম সারাদেশে শুরু করা হয়। আর ২৮ ডিসেম্বর সারাদেশে করোনাভাইরাসের টিকার বুস্টার ডোজ দেওয়া শুরু হয়।
শুরুতে ৬০ বছরের বেশি, যারা কোভিডের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সামনের সারিতে আছেনএবং যারা বিভিন্ন অসংক্রামক রোগের কারণে স্বাস্থ্যঝুঁকিতে আছেন, তাদের করোনাভাইরাসের টিকার বুস্টার ডোজ দেওয়া শুরু হয়। পরে সেই বয়সসীমা কমিয়ে ৫০ বছর করা হয়।
সাধারণত টিকার দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার ৬ মাস পরে বুস্টার ডোজ বা তৃতীয় ডোজ দেওয়া হচ্ছে। যে আগে যে হাসপাতাল থেকে দুই ডোজ টিকা নিয়েছেন, সেই হাসপাতাল থেকে তার মোবাইলে বুস্টার ডোজের তারিখ জানিয়ে এসএমএস পাঠানো হচ্ছে। সেই কেন্দ্রে নির্ধারিত দিনে গিয়ে তৃতীয় ডোজ নিতে হচ্ছে।