অর্থের বিনিময়ে জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) পাচ্ছেন মিয়ানমার থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গারা। প্রতিটি এনআইডির জন্য তাদের দিতে হচ্ছে এক লাখ ৩০ হাজার টাকা। এমন তথ্য জানিয়েছেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার (ডিসি) মোহাম্মদ আলী হোসেন।
তিনি জানান, এনআইডি জালিয়াতির সঙ্গে জড়িত চক্রের ১০ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (২৫ অক্টোবর) নগরীর হালিশহর হাউজিং এস্টেট উচ্চবিদ্যালয় থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। বুধবার (২৬ অক্টোবর) এ তথ্য জানায় তারা।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন-কামাল হোসেন ওরফে মোহাম্মদ (৪৫), পারভিন আক্তার (২৫), শামসুর রহমান ওরফে শামসু মাষ্টার ওরফে সোনা মিয়া (৬০), নুরুল আবছার (২৮), ইয়াসিন আরাফাত (২২), মো. নুর নবী ওরফে অনিক ওরফে রাহাত (২৫), মিজানুর রহমান (২৩), ফরহাদুল ইসলাম (২৮), মো.কামাল (৪২) ও ইমন দাস (২০)। এরমধ্যে দুইজন রোহিঙ্গা, তিনজন দালাল ও পাঁচ জন নির্বাচন কমিশনারের (ইসি) অস্থায়ী ডাটা এন্ট্রি অপারেটর রয়েছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।
গোয়েন্দা পুলিশের উপ-কমিশনার (ডিসি) মোহাম্মদ আলী হোসেন বলেন, রোহিঙ্গাদের এনআইডি পাইয়ে দিতে এক লাখ ৩০ হাজার টাকা করে নেওয়া হয়। রোহিঙ্গাদের কাছ থেকে এ টাকা নেয় মাসুম মাস্টার। পরে দালাল নুরুল আবছারকে টাকা দিয়ে ইসির ডাটা এন্ট্রি অপারেটরদের মাধ্যমে রোহিঙ্গাদের এনআইডি পাইয়ে দিতে সহায়তা করা হয়।
এই চক্রে আর কেউ জড়িত আছেন কি-না, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। এর সঙ্গে যারাই যুক্ত থাকবে তাদেরকে আইনের আওতায় আনা হবে বলেও জানান তিনি।