fbpx

৩ মাসে নির্যাতন-হয়রানির শিকার ৫৬ জন সাংবাদিক: আসক

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

২০২৩ সালের জানুয়ারি থেকে মার্চ এই তিন মাসে দেশে ৫৬ জন সাংবাদিক দায়িত্ব পালনকালে বিভিন্নভাবে নির্যাতন, হয়রানি, হুমকি, মামলা ও পেশাগত কাজ করতে গিয়ে বাধার সম্মুখীন হয়েছেন। এমনটি জানিয়েছেন আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক)।

শুক্রবার (৩১ মার্চ) মানবাধিকার লঙ্ঘন নিয়ে এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানায় সংগঠনটি। প্রতিবেদনটি ১০টি জাতীয় দৈনিক ও বিভিন্ন অনলাইন পোর্টালে প্রকাশিত সংবাদ ও আসকের নিজস্ব সূত্র থেকে সংগৃহীত তথ্যের ভিত্তিতে তৈরি করা হয়েছে।

প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, গত তিন মাসে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কর্তৃক ৩ জন নিহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে ১ জন পুলিশ কর্তৃক এবং ২ জন র‍্যাব কর্তৃক নিহত হন। নিহতদের মধ্যে র‍্যাব ও পুলিশের শারীরিক নির্যাতনে ২ জন এবং র‍্যাবের গুলিতে ১ জন নিহত হন।

এসময়ে ৫টি ঘটনায় হিন্দু সম্প্রদায়ের ৩টি বাড়িঘরসহ ১টি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে দুর্বৃত্তদের হামলার ঘটনা ঘটেছে। এছাড়া ১৫টি প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। অন্যদিকে পঞ্চগড়ে আহমদিয়া সম্প্রদায়ের ওপর হামলার ঘটনায় আহমদিয়া সম্প্রদায়ের ১ জন নিহত ও কমপক্ষে ৬২ জন আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় ১০৩টি বাড়ি ও ৩৩টি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে।

আসকের প্রতিবেদনে বলা হয়, বিগত তিন মাসে বিভিন্ন পর্যায়ের স্থানীয় নির্বাচনসহ রাজনৈতিক সংঘাত ও সহিংসতার ১০২টি ঘটনা ঘটেছে। এতে নিহত হয়েছেন ৬ জন এবং আহত হয়েছেন প্রায় ১৩৭৪ জন।

গত তিন মাসে ১২৪ নারী ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে ১২ জনকে। আত্মহত্যা করেছেন ১ জন নারী। এছাড়া ৩৪ জন নারীকে ধর্ষণের চেষ্টা চালানো হয়েছে। এছাড়া পারিবারিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন মোট ১১৬ জন নারী। এদের মধ্যে ৬৮ জন নারীকে হত্যা করা হয়েছে এবং আত্মহত্যা করেছেন ৩০ জন। শারীরিকভাবে নির্যাতনের শিকার হয়েছেন ১৮ জন নারী।

এছাড়া দেশের বিভিন্ন স্থানে তিন মাসে মোট ৩৫৩ শিশু বিভিন্ন ধরনের নির্যাতন ও হত্যার শিকার হয়েছে। এদের মধ্যে হত্যার শিকার হয়েছে ৫২ শিশু এবং ১ জন ছেলে শিশুকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে। আত্মহত্যা করেছে ২৫ শিশু। বিভিন্ন সময়ে মোট ৪৫ শিশুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে ৩ শিশুর। এছাড়া বলাৎকারের শিকার হয়েছে ৭ ছেলে শিশু এবং বলাৎকারের চেষ্টা করা হয়েছে ৩ জন শিশুকে।

আর বিএসএফ-এর গুলি ও নির্যাতনে নিহত হয়েছেন ৫ বাংলাদেশি ও আহত হয়েছেন ৬ জন।

মানবাধিকার লঙ্ঘন প্রতিরোধে আইনের শাসন ও জবাবদিহিতা প্রতিষ্ঠা অত্যাবশ্যকীয়। অন্যথায় বিচারহীনতার সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠা পেয়ে যায় এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনজনিত ঘটনা বৃদ্ধি পেতে থাকে বলে মনে করে আসক। তারা রাষ্ট্রের কাছে নাগরিকের সব ধরনের মানবাধিকারের সুরক্ষা এবং ভুক্তভোগীদের ন্যায়বিচার দ্রুততার সঙ্গে নিশ্চিত করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছে।

Advertisement
Share.

Leave A Reply