fbpx

৫৭ জেলা পরিষদে ইভিএমে চলছে ভোটগ্রহণ

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

দেশের ৫৭টি জেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। সোমবার (১৭ অক্টোবর) সকাল ৯টা থেকে শুরু হওয়া এই ভোটগ্রহণ চলবে দুপুর ২টা পর্যন্ত। প্রতিটি কেন্দ্রেই ভোটগ্রহণ হচ্ছে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম)। এছাড়া নিরাপত্তা নিশ্চিত ও ভোটে কারচুপি এড়াতে সব কেন্দ্রে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে।

এই নির্বাচনে ২৬ জন চেয়ারম্যান, ১৮ জন নারী সদস্য এবং ৬৫ জন সাধারণ সদস্য বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও নোয়াখালী জেলা পরিষদ নির্বাচন আদালতের নির্দেশনায় স্থগিত করা হয়েছে। ভোলা ও ফেনী জেলার সব পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ায় এ দুই জেলায় কোনও নির্বাচন হচ্ছে না।

নির্বাচনে ৫৭টি জেলায় চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী ৯২ জন, সদস্য পদে এক হাজার ৪৮৫ জন ও সংরক্ষিত পদে ৬০৩ জন। ৫৭টি জেলায় সাধারণ ওয়ার্ড সংখ্যা ৪৪৮টি, সংরক্ষিত ওয়ার্ড ১৬৬টি। ভোটকেন্দ্র ৪৬২টি ও ভোটকক্ষ ৯২৫টি। মোট ভোটার ৬০ হাজার ৮৬৬ জন। এদের মধ্যে ৫৭ জেলায় একজন করে চেয়ারম্যান, মোট ৪৪৮ জন সাধারণ সদস্য ও ১৬৬ জন সংরক্ষিত নারী সদস্য নির্বাচিত হবেন।

জেলা পরিষদ নির্বাচনে ২৬ জেলার চেয়ারম্যান একক প্রার্থী হিসেবে বিনা ভোটে জয়ী হয়েছেন। একই সঙ্গে বিভিন্ন জেলার ১৮ জন সংরক্ষিত সদস্য ও ৬৫ জন সাধারণ সদস্য ভোট ছাড়াই জয় নিশ্চিত করেছেন। বাকি পদগুলোতে ৯২ জন চেয়ারম্যান প্রার্থী, ৬০৩ জন সংরক্ষিত সদস্য এবং ১ হাজার ৪৮৫ জন সাধারণ সদস্য প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রয়েছেন।

আইন অনুযায়ী, সংশ্লিষ্ট জেলার সবগুলো স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান অর্থাৎ সিটি করপোরেশন, উপজেলা, পৌরসভা এবং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, মেয়র ও কাউন্সিলররা বা সদস্যরা ভোট দিয়ে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদস্য নির্বাচিত করেন।

নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে জেলা প্রশাসক ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা দায়িত্ব পালন করছেন। আর প্রিসাইডিং ও পোলিং অফিসারের দায়িত্বে রয়েছেন অন্য নির্বাচন কর্মকর্তারা। তবে চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসকের বিরুদ্ধে পক্ষপাতের অভিযোগ থাকায় তাকে চট্টগ্রাম আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

ভোটের আগের দিন রবিবার বিভিন্ন এলাকা থেকে হামলা-ভাঙচুর, ভোটার আটকে রাখা, নির্বাচন প্রভাবিত করতে পেশি শক্তি, কালো টাকা ছড়ানো এবং ক্ষমতার দাপটের বিস্তর অভিযোগ পাওয়া গেছে। এমনকি আচরণবিধি লঙ্ঘনের এসব অনিয়মে জড়িয়েছেন স্থানীয় সংসদ সদস্যরাও।

সিরাজগঞ্জ ও গাজীপুরে ভোটের দাম লাখ টাকায় উঠেছে। পঞ্চগড়ে দুই স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থীর ঘরবাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলার ঘটনা ঘটেছে, নড়াইলেও হামলা হয়েছে। বরিশালে ৩১ ভোটারকে আটকে রাখার অভিযোগ রবিবার রাতে জরুরি নির্দেশনা পাঠিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আওয়ামী লীগ এই নির্বাচনে সব জেলায় প্রার্থী মনোনয়ন দিলেও বিএনপিসহ অধিকাংশ দল নির্বাচন বর্জন করেছে।

ইসির পক্ষ থেকে ভোট কক্ষে ভোটাররা যাতে মোবাইল ফোন নিয়ে ঢুকতে না পারেন কিংবা কেন্দ্রের গোপন কক্ষে ব্যালট ইউনিটের ছবি তুলতে না পারেন, তা নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে।

সব কেন্দ্রে সিসিটিভি বসানো হয়েছে। ৫৭ জেলার ৪৬২ উপজেলা সদরে ভোটকেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে। পুরো নির্বাচন প্রক্রিয়া তদারকির জন্য ঢাকায় ইসি কার্যালয়ে পর্যবেক্ষণ কক্ষ খোলা হয়েছে।

রবিবার দুপুরে সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র পরিদর্শন করেন। পাশাপাশি সন্ধ্যায় ইসির পক্ষ থেকে বিদ্যুৎ বিভাগকে দেওয়া এক চিঠিতে ভোটের দিন সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত টানা ৭ ঘণ্টা ভোটকেন্দ্রগুলোতে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে। সিসিটিভি ও ইভিএম পরিচালনার স্বার্থে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে চিঠিতে জানানো হয়েছে।

Advertisement
Share.

Leave A Reply