fbpx

৬৪টি অবৈধ হাসপাতাল ক্লি‌নিক বন্ধ করলো স্বাস্থ্য অধিদপ্তর

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর চল‌তি বছর দেশজুড়ে চলমান অভিযানে ১৬৪টি অবৈধ হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধ করেছে । এ সময় জরিমানা করা হয়েছে ৪৯ লাখ ৫ হাজার টাকা। এছাড়া কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে ৬ জনকে।

মঙ্গলবার স্বাস্থ্য অধিদপ্ত‌রের পরিচালক (হাসপাতাল ও ক্লিনিক সমূহ) ডা. মো. হাবিবুল আহসান তালুকদার সই করা এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিবৃতিতে বলা হয়, গত ১৮ সেপ্টেম্বর থেকে দেশের নিবন্ধনহীন অবৈধ হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের বিরুদ্ধে অভিযানে নামে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। আর ২৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মোট চলমান এ অভিযানে এখন পর্যন্ত মোট ২ হাজার ৮৩ টি স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করা হয়েছে।

রাজধানীতে মঙ্গলবারও অভিযান চালিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এ অভিযানে রাজধানীর শ্যামলীর রিং রোডের ডিপিআরসি হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনষ্টিক ল্যাব বন্ধ করে দেওয়া হয়।

সং‌শ্লিষ্টরা জানান, চিকিৎসক না হয়েও ওই হাসপাতা‌লে চিকিৎসা দিয়ে আসছিলেন শফিউল্লাহ প্রধান না‌মে একজন ফিজিওথেরাপিস্ট। নিজেই গড়ে তো‌লেন ডিপিআরসি নামে চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান। ফিজিওথেরাপিস্ট হয়েও দিয়ে আসছিলেন নিয়মিত চিকিৎসা। রোগ নির্ণয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার কথা না থাকলেও মেয়াদোত্তীর্ণ রিএজেন্ট ব্যবহার করে নিয়মিত করে আসছিলেন তিনি।

স্বাস্থ্য অধিদপ্ত‌রের হাসপাতাল ও ক্লিনিক শাখার পরিচালক অধ্যাপক ডা. হাবিবুল আহসান তালুকদারের নেতৃত্বে ছয় সদস্যের একটি টিম এ অভিযানে অংশ নেয়। অন্যান্য সদস্যের মধ্যে ছিলেন উপপরিচালক ডা. শেখ দাউদ আদনান, সহকারী পরিচালক ডা. মো. বিল্লাল হোসেন, মেডিকেল অফিসার ডা. মো. সালেহি সহ আরও তিন অতিরিক্ত পরিচালক।

রাজধানীর বনানী এলাকার প্রেসক্রিপশন পয়েন্ট লিমিটেড ও ডায়াগনস্টিক অ্যান্ড কনসালটেশন সেন্টারে তালা ঝুলিয়ে দেওয়ার ঘটনায় মালিকপক্ষের অভিযোগকে উদ্দেশ্য প্রণোদিত, মিথ্যা ও বানোয়াট বলে আখ্যায়িত করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রেসক্রিপশন পয়েন্টের বিরুদ্ধে চলমান অভিযানকে বাধাগ্রস্ত করে জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টির জন্যই তারা মিথ্যা ও বানোয়াট বক্তব্য উপস্থাপন করছে।

Advertisement
Share.

Leave A Reply