করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধ করতে সাত জেলায় লকডাউন ঘোষণা করেছে সরকার। আর এই সময়সীমার মধ্যে রেল ও নৌ-পথে চলাচলে বিধিনিষেধসহ সার্বিক কার্যাবলি বন্ধ রাখার কথা জানিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
আজ সোমবার (২১ জুন) বিকেলে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে লকডাউন সংক্রান্ত একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করার পর রেল ও নৌ-পথে যান চলাচলে বিধিনিষেধ দিয়ে এই প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
উল্লেখ্য, করোনাভাইরাসের বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনা করে মানিকগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ, মাদারীপুর, গাজীপুর, মুন্সিগঞ্জ, রাজবাড়ী ও গোপালগঞ্জ জেলাসমূহে সার্বিক কার্যাবলি ও চলাচল আগামীকাল মঙ্গলবার (২২ জুন) ভোর ৬টা থেকে আগামী ৩০ জুন মধ্যরাত পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
এ বিষয়ে আজ রেলমন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজন সংবাদমাধ্যমকে জানান, ‘ঢাকা থেকে ছেড়ে যাওয়া ট্রেনের গন্তব্যে যেতে যদি কোনো লকডাউন এলাকা পড়ে সেখানে ট্রেন থামবে না, যাত্রী উঠাবে না এবং নামাবেও না। লকডাউন এলাকা ক্রস করে ট্রেন গন্তব্যে যাবে।‘
তিনি আরও বলেন, ‘অন্যান্য এলাকার জন্যও এই বিধি মেনে ট্রেন চালাতে হবে। লকডাউন এলাকার রেলস্টেশনগুলো বন্ধ থাকবে। এছাড়া, আন্তঃনগর ট্রেনের ক্ষেত্রেও এ নিয়ম মেনে ট্রেন চলবে। তবে সব লোকাল ট্রেনের ক্ষেত্রেও ওই সব এলাকায় চলাচল বন্ধ থাকবে। লকডাউন এলাকা থেকে কোন আন্তঃনগর কিংবা লোকাল ট্রেন থামবেও না ছাড়বেও না। লকডাউন এলাকায় ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকবে।‘
এদিকে, বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষও (বিআইডব্লিউটিএ) এক বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানায়, আগামীকাল (২২ জুন) সকাল ৬টা থেকে ৩০ জুন মধ্যরাত পর্যন্ত লকডাউনের অন্তর্ভুক্ত জেলাগুলোতে নৌ চলাচল বন্ধ রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
আজ সোমবার সংস্থাটির নৌ নিরাপত্তা ও ট্রাফিক বিভাগের পরিচালক মুহাম্মদ রফিকুল ইসলাম স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, এই জেলাগুলোর লঞ্চঘাট ছাড়াও দেশের যে কোনো স্থান থেকে ছেড়ে যাওয়া যাত্রীবাহী নৌযানসমূহ যাত্রাপথে মাদারীপুর, পাটুরিয়া, দৌলতদিয়া, আরিচা, নারায়ণগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জ, মিরকাদিম লঞ্চঘাট থেকে ছাড়তে বা ভিড়াতে পারবে না।
তবে পণ্য পরিবহন এবং জরুরি সেবা প্রদানকারী নৌযানের ক্ষেত্রে এই আদেশ কার্যকর হবে না বলেও বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।