fbpx

‌‘বর্তমান আইনে খালেদা জিয়া নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না’

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়কমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, বেগম খালেদা জিয়া নির্বাচন করতে পারবেন কিনা সেটা আইন বলে দেবে। আইন যা বলে, তা-ই হবে। আইনে যদি বলে তিনি নির্বাচন করতে পারবেন, তাহলে তিনি করবেন। আর আইনে যদি বলে তিনি নির্বাচন করতে পারবেন না, তাহলে তিনি তা করতে পারবেন না। আপাতত যে আইন আছে তাতে মনে হয় না তিনি আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন।

গতকাল ঢাকায় বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে সহকারী জজদের ৪৭তম বিশেষ বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ কোর্সের উদ্বোধন শেষে আইনমন্ত্রী সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন। প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন আইন সচিব মো. গোলাম সারওয়ার।

খালেদা জিয়ার নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, সংবিধানের ৬৬ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, দুর্নীতির মামলায় (নৈতিকস্খলন) কোনো ব্যক্তির যদি দুই বছর বা তার অধিক সাজা হয় তাহলে সেই ব্যক্তি সংসদ নির্বাচন করতে পারবেন না। সব নির্বাচনেই এ নীতির প্রতিফলন আছে। এখন উনি (খালেদা জিয়া) আদালতের দণ্ডপ্রাপ্ত। বিএনপির যে সেক্রেটারি (মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর) তিনি অনেক দেশীয় আইন মানেন না। তাদের পক্ষে এ রকম কথা বলাটা খুব একটা যে সারপ্রাইজিং তা নয়। দেশে প্রচলিত আইন আছে, এ আইনে তিনি যদি যোগ্য হন তাহলে নির্বাচন করতে পারবেন, না হলে পারবেন না। আইনে যা আছে সেটাই হবে, আপাতত যে আইন আছে তাতে তিনি করতে পারবেন না।

‌‘বর্তমান আইনে খালেদা জিয়া নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না’ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে আনিসুল হক বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার মতো কিছু নেই। আমি কিছুদিনের মধ্যেই ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের আওতায় যে ২৯টি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য অবকাঠামোর নাম রয়েছে (ক্রিটিক্যাল ইনফরমেশন ইনফ্রাস্ট্রাকচার) আপনাদের মাঝে তুলে ধরব। এটা দু-তিনদিনের মধ্যেই। আমি বারবারই বলে আসছি ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন করা হয়েছে সাইবার অপরাধ নিয়ন্ত্রণে। অন্য উদ্দেশ্যে যদি এটি করা হতো, বিশেষ করে একটা মহল যেটা বারবার বলার চেষ্টা করছে, সেটা যদি করা হতো তাহলে এটা কিন্তু সংবিধান পরিপন্থী হতো।

তিনি বলেন, দেখেন আমি এটা অস্বীকার করিনি, একটা সময় এটার মিস ইউজ এবং অ্যাবইউজ আমরা দেখেছি। তখন আমরা কিন্তু হাত গুটিয়ে বসে থাকিনি। মিস ইউজ বন্ধ করার জন্য আলাপ-আলোচনা, গবেষণা চলমান রয়েছে। আরেকটা জিনিস যেটা করায় আপনারা কিছুটা উন্নতি দেখেছেন। এখন ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টে মামলা হলেই কাউকে আটক করা হয় না এবং মামলা নিয়ে গেলেই এখন সেটা গ্রহণ হয় না। আমরা চলমান গবেষণা এবং আলাপ-আলোচনায় মিস ইউজের কথা বিবেচনায় এসব পদক্ষেপ নিয়েছি। সংবাদমাধ্যমের কর্মকর্তাদের ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টের বিষয়ে ভীত হওয়ার কোনো কারণ নেই।

Advertisement
Share.

Leave A Reply