যুদ্ধ-বিদ্ধস্ত ফিলিস্তিনের নিপীড়িত মানুষের জন্য ত্রাণসামগ্রী পাঠাবে বাংলাদেশ । বুধবার(১৮ অক্টোবর ২০২৩) গণভবনে ইসলামী সহযোগিতা সংস্থার (ওআইসি) সদস্য ১৪টি দেশের রাষ্ট্রদূতদের সঙ্গে জরুরি বৈঠকে এ কথা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রাত সাড়ে ৮টায় বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন।
পররাষ্ট্র সচিব জানান, এটি সৌজন্য সাক্ষাৎ ছিল। সৌজন্য সাক্ষাতে অবিলম্বে গাজায় সহিংসতা বন্ধের আহ্বান জানিয়ে ইসরায়েলের হামলায় নিন্দা জ্ঞাপন করেছেন প্রধানমন্ত্রী। এ সমস্যার মূলে যা আছে সেটা চিহ্নিত করে বিশ্ব নেতাদের ব্যবস্থা নেওয়ারও আহ্বান জানিয়েছেন সরকারপ্রধান। এসময় প্রধানমন্ত্রী মুসলিম উম্মাহকে একত্রিত থাকার আহ্বান জানান।
পররাষ্ট্র সচিব বলেন, প্রধানমন্ত্রী বৈঠকে জানিয়েছেন, ঐক্য না থাকলে ফিলিস্তিনিরা তাদের অধিকার ফিরে পাবে না।
বাংলাদেশ ফিলিস্তিনে নিপীড়িত মানুষের জন্য ত্রাণসামগ্রী পাঠাবে।পররাষ্ট্র সচিব বলেন, ফিলিস্তিন ইস্যুতে শোক দিবস পালন করা হবে, যা আগামী কেবিনেট বৈঠকে আলোচনা হবে।
৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস অবৈধ দখলদার ইসরায়েলের বিরুদ্ধে রকেট হামলা করে। এর পর থেকে গাজায় পানি ও বিদ্যুৎ বন্ধ করে অব্যাহতভাবে ফিলিস্তিনে বিমান হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল। তাদের হামলায় গাজা মৃত্যুপুরীতে পরিণত হয়েছে। সেখানে খাবার, পানি, ওষুধসহ জরুরি পণ্যের ব্যাপক সংকট দেখা দিয়েছে।
সেখানে পাঠানোর জন্য ত্রাণের পণ্য নিয়ে শত শত ট্রাক কয়েক দিন ধরে মিসর সীমান্তের রাফাহ ক্রসিংয়ে আটকে আছে। ইসরায়েল ওই সীমান্তেও বোমা হামলা চালিয়েছে। তারা এত দিন গাজায় কোনো ধরনের পণ্য ঢুকতে না দেওয়ার সিদ্ধান্তে অটল ছিল।
জাতিসংঘ এবং আন্তর্জাতিক দাতব্য সংস্থাগুলো বলছে, গাজায় এখন যে ভয়াবহ মানবিক সংকট দেখা দিয়েছে তাতে করে ২০ ট্রাক ত্রাণ সহায়তা দিয়ে ন্যূনতম চাহিদাও পূরণ করা সম্ভব হয়। কারণ গাজার ১০ লাখ উদ্বাস্তুর জন্য এখন দৈনিক অন্তত ১০০ ট্রাক ত্রাণ সহায়তার প্রয়োজন।