সম্পর্ক সুখের রাখতে কে না চায়? তবু দেখা যায়, অনেকেই এমন কিছু মানুষের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ে, যা পরবর্তীতে বেশ অশান্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। অনেকেই ভাবেন, এতো অশান্তি নিয়ে সম্পর্ক টিকিয়ে রাখার মানে নেই। আবার অনেকেই শত অশান্তি মনে নিয়েও সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসতে পারেন না। সম্পর্কের তিক্ততা অনেক সময় চলতে থাকে বছরের পর বছর। তবুও কিছু সম্পর্ক ভাঙে না।
কষ্ট করে সমস্যায় ভরা সম্পর্কে থেকে যায় কেন এত মানুষ? এমন দাম্পত্য অথবা প্রেমে জড়িতদের পরিজনেরা বহু সময়ে প্রশ্নও তোলেন। তবু তাতে সব সময়ে কাজ হয় না। মাঝেমধ্যে নির্যাতনের শিকার হলেও থেকে যায় মানুষ। কিন্তু কেন?
মনোবিদদের তথ্য অনুযায়ী, সম্পর্কে থাকার অভ্যাস থেকে বেরোতেই পারেন না বহু মানুষ। ফলে নিয়মিত মানসিক অত্যাচার চলতে থাকলেও সেই মানুষটির জীবনের সঙ্গে নিজেকে জুড়ে রাখেন।
অনেকেই আছেন যারা নিরাপত্তার কথা ভেবেও সঙ্গীর সাথে থাকেন। আরও একটি মানুষ নিজের জীবনে থাকলে একা লাগবে না, এমন ভাবেন। ফলে সে মানুষটি যেমনই ব্যবহার করুক না কেন, থেকে যান তার সঙ্গে।
সমাজের কথা ভেবেও অনেকে সঙ্গীর সাথে থাকতে বাধ্য হন। বিশেষ করে দাম্পত্যের ক্ষেত্রে সমাজ এমনও রায় দিয়ে থাকে যে, অশান্তি যতই থাক, তবু বিয়ে ভাঙা যাবে না। সমাজ কী বলবে, সেই চিন্তা বড় হয়ে দাঁড়ায় নিজের সুখের তুলনায়।
আপনি একটা সুন্দর এবং স্বাস্থ্যকর সম্পর্কে থাকলে নিজে ভালো থাকবেন, আশেপাশের মানুষগুলোকেও ভাল রাখতে পারবেন। আর নিজেকে ভালোবাসা খুব গুরুত্বপূর্ণ। তাই, অন্যের কথা না ভেবে নিজের জন্য যেটা ভালো হবে, সেই সিদ্ধান্ত নেওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ।