আজ আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়েছে ডাক অধিদপ্তরের নবনির্মিত সদর দপ্তর ‘ডাক ভবন’ এর। ডাক বাক্সের আদলে আধুনিক সুযোগ-সুবিধা সংবলিত নান্দনিক এই ভবনটি নির্মাণ করা হয়েছে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে। যার উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আজ বৃহস্পতিবার (২৭ মে) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে প্রধানমন্ত্রী ভার্চুয়ালভাবে গণভবন থেকে যুক্ত হয়ে নবনির্মিত ভবনটি উদ্বোধন করেন। এর আগে, ডাক বিভাগের নতুন ভবন উদ্বোধন উপলক্ষে স্মারক ডাকটিকিট অবমুক্ত করেন তিনি।
উদ্বোধনের পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর বক্তব্যে বলেন, বর্তমানে অনলাইনে কেনাবেচা বেড়েছে। ডাক বিভাগেরও পিছিয়ে থাকলে চলবে না। আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়িয়ে ডাক বিভাগকে আরও বেশি সেবামুখী করার আহ্বান জানান তিনি।
তিনি এ সময় বলেন, ডাকবিভাগ যেন আরও মানুষের সুবিধা দিতে পারে, তাই সেখানে ১১৮টি মেইল গাড়ি সংযোজন করা হয়েছে। আর এসব গাড়ি চালানোর জন্য নারীদেরকেও তৈরি করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, যেহেতু এখন বেশিরভাগ ব্যবসা অনলাইনেই হয়, তাই খাদ্যদ্রব্য থেকে শুরু করে ফলমূল যেন ডাকের মাধ্যমে পাঠানো যায় সেই ব্যবস্থা করা হবে। এজন্য কুলিং ও ফ্রিজিং সিস্টেমের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
সরকারপ্রধান ভবনটি নির্মাণ প্রসঙ্গে বলেন, অনেকেই এখন লেটারবক্স ভুলে গেছেন। সবাই এখন এসএমএস বা মেইল আদান-প্রদান করেন। তাই, মানুষ যেন চিঠি বা ডাকবাক্সকে ভুলে না যায় সেজন্যই ডাকবাক্সের আদলে ভবনটি নির্মাণ করা হয়েছে।
এ সময় অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার। পাশাপাশি, উপস্থিত ছিলেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব মো. আফজাল হোসেন এবং ডাক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. সিরাজ উদ্দিন ও সরকারের অন্যান্য কর্মকর্তারা।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা যায়, দৃষ্টিনন্দন এই ভবনটি নির্মাণ করতে সরকারকে খরচ গুনতে হয়েছে ৯১ কোটি ৭৩ লাখ টাকা। ২টি বেজমেন্টসহ ১৪তলা ভবন নির্মাণের জন্য ‘বাংলাদেশ ডাক অধিদপ্তরের সদর দপ্তর’ শীর্ষক প্রকল্পটি ২০১৮ সালের ২০ মার্চ একনেকে অনুমোদিত হয়।
এ ডাক ভবনে রয়েছে সুসজ্জিত ও সমৃদ্ধ লাইব্রেরি, আধুনিক পোস্টাল মিউজিয়াম, সুপরিসর অডিটরিয়াম, ক্যাফেটেরিয়া, ডে-কেয়ার সেন্টার, মেডিকেল সুবিধা, অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা এবং সার্বক্ষণিক ওয়াইফাইসহ অন্যান্য তথ্যপ্রযুক্তিগত ব্যবস্থা।