২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে এমবিবিএস প্রথম বর্ষে ভর্তি পরীক্ষার ‘ত্রুটিপূর্ণ’ ফলাফল বাতিল করে নতুন মেধাতালিকায় ভর্তি চেয়ে রিটটি পর্যবেক্ষণসহ খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট।
আজ বৃহস্পতিবার (২৭ মে) রিটের শুনানি নিয়ে বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সরদার মো. রাশেদ জাহাঙ্গীরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। খবরটি সংবাদমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার মেহেদী হাসান চৌধুরী।
রায়ের পর্যবেক্ষণে আদালত জানান, রিটটি পর্যবেক্ষণসহ খারিজ করা হয়েছে। কোনো পরীক্ষার্থীর ফলাফল বিষয়ে অভিযোগ থাকলে তারা স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের কাছে আবেদন করবেন। আর কর্তৃপক্ষকে কারণসহ বিষয়টি পরবর্তী সাতদিনের মধ্যে সমাধান করে সংশ্লিষ্ট প্রার্থীকে জানাতে হবে। তাছাড়া, কোনো প্রার্থী তথ্য গোপন করে ভর্তি প্রক্রিয়ায় অংশ নিলে এবং তা চিহ্নিত হলে তাৎক্ষণিকভাবে তার ভর্তি বাতিল করা হবে।
এর আগে, ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে এমবিবিএস প্রথম বর্ষে ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল ত্রুটিপূর্ণ দাবি করে তা সংশোধন সাপেক্ষে নতুন মেধা তালিকা প্রণয়নের মাধ্যমে ভর্তির নির্দেশনা চেয়ে ৩২৪ জন শিক্ষার্থী গত ১৯ মে এই রিট করেন। আইনজীবী মোহাম্মদ হুমায়ন কবির রিটের পক্ষে শুনানি করেন। এ সময় অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মোহাম্মদ মেহেদী হাসান চৌধুরী ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে অংশ নেন। ওই শুনানির পর আদেশের জন্য দিন ধার্য ছিল আজ।
গত ৪ এপ্রিল ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে এমবিবিএস প্রথম বর্ষে ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়। প্রকাশিত ওই পরীক্ষার ফলাফলে অসংখ্য ভুল এবং বড় ধরনের অসংগতি পাওয়া গেছে। এসব ত্রুটি ও অসংগতির কারণে অনেক যোগ্য ও মেধাবী পরীক্ষার্থী মেডিকেল কলেজগুলোতে ভর্তি হওয়ার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হবেন –এসব বিষয় তুলে ধরে রিটটি করা হয়।
প্রকাশিত মেধাতালিকার ভিত্তিতে আইনি নোটিশে তিন দিনের সময় দিয়ে ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি কার্যক্রম স্থগিত রাখতে এবং ত্রুটিপূর্ণ মেধাতালিকা বাতিল করে পুনঃ নিরীক্ষার মাধ্যমে নতুন মেধাতালিকা গঠন করতে অনুরোধ করা হয়েছে এতে।
এই বিষয়ে নোটিশ পাঠানো হয়েছে, স্বাস্থ্যসচিব, শিক্ষাসচিব, স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ও পরিচালক এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বরাবর।