দেশের গন্ডি পেরিয়ে দিন দিন মধ্যপ্রাচ্যের দেশ তুরস্কে বাংলাদেশের বাণিজ্য বাড়ছে। দেশটিতে পড়তে গিয়ে অনেকেই ব্যবসায় আগ্রহী হচ্ছেন।
সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, তুরস্ক এবং বাংলাদেশের মধ্যকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক বাড়ালে এবং সরকারি সহায়তা পেলে ব্যবসার পরিধি কয়েক গুণ বাড়ানো সম্ভব।
ইতিহাস ঐতিহ্যের শহর ইস্তাম্বুলের ফাহিত রোডে বাংলাদেশি তরুণ ব্যবসায়ী হেলালীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, তিনি ৮ বছর আগে তুরস্কে লেখাপড়া করতে এসেছিলেন। তখন খুব বেশি বাংলাদেশি না থাকলেও এখন সংখ্যায় বাড়ছে। অনেকেই ছোটখাটো ব্যবসা করেন। অনেকে আবার চাকরি করছেন।
তিনি বলেন, ‘তুরস্ক একটি ব্যবসাবন্ধব দেশ। এখানে অনেক সুযোগ-সুবিধা পাওয়া যায়। যে কেউ চাইলেই তার নিজস্ব ব্যবসা শুরু করতে পারে।’
তবে এখানে ব্যবসায় কিছু সীমাবদ্ধতা রয়েছে। উদাহরণ দিতে গিয়ে হেলালী জানান, ‘একজন বিদেশি নিজের ট্রেড লাইন্সেস নিতে গেলে, তাকে ন্যূনতম ৫ জন তুর্কি নাগরিককে নিজের কোম্পানিতে চাকরি দিতে হবে। তবে এখানে কোম্পানি খোলা, লেনদেন করা এবং আমদানি-রপ্তানির ক্ষেত্রে বিশেষ সুবিধা পাওয়া যায়।
বাংলা আর তুর্কির মিশেলে এশিয়ান লাউঞ্জ নামে রেস্টুরেন্ট গড়ে তুলেছে একদল তরুণ। যেখানে ২ হাজার বাংলাদেশি রয়েছে।
তুরস্কে বসবাসকারী কয়েকজন তরুণ উদ্যোক্তা জানান, কাগজপত্র ঠিক থাকলে খুব সহজেই একজন নিজের কোম্পানি খুলতে পারবে। তুরস্কে ব্যবসার পরিবেশ ভালো বলেও জানান তারা।
গত কয়েক বছর ধরে তুরস্কের সঙ্গে বাড়ছে বিনিয়োগ। সেখানে ফল, ফ্রোজেন ফুড, যন্ত্র, যন্ত্রাংশ, ইলেকট্রনিকসসহ বিভিন্ন পণ্য আমদানি করে বাংলাদেশ। পোশাক ছাড়াও পাটপণ্য, প্লাস্টিক, কৃষিজাত পণ্য রপ্তানির সুযোগ রয়েছে।
বাংলাদেশ ও তুরস্কের বাণিজ্য ১০০ কোটি ডলার। তবে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য সম্পর্ক উন্নয়নের মাধ্যমে এই অর্থের পরিমাণ বাড়নো সম্ভব বলে মনে করছেন সেখানে বসবাসরত বাংলাদেশিরা।
তথ্যসূত্র: সময় টিভি