করোনা সংক্রমণ থেকে সুরক্ষায় দেশে ফাইজারের টিকা দিয়ে বুস্টার ডোজ কার্যক্রম শুরু হয়েছে। আজ ১৭ জন প্রবীণ নাগরিককে দিয়ে শুরু করা হলো এই বুস্টার ডোজ কার্যক্রম। এ কার্যক্রমে প্রথম ব্যক্তি হিসেবে বুস্টার ডোজ নিয়েছেন, কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের সিনিয়র স্টাফ নার্স রুনু ভেরোনিকা কস্তা। যিনি দেশের প্রথম ব্যক্তি হিসেবে গত ২৭ জানুয়ারি করোনার টিকা গ্রহণ করেছিলেন।
রবিবার (১৯ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর মহাখালীর বাংলাদেশ কলেজ অব ফিজিশিয়ানস অ্যান্ড সার্জনস (বিসিপিএস) মিলনায়তনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বুস্টার ডোজ কার্যক্রমের উদ্বোধন ঘোষণা করেন। এ সময় ভেরোনিকা কস্তাকে এক ডোজ টিকা দেওয়ার মাধ্যমে বাংলাদেশে শুরু করা হয় বুস্টার ডোজের টিকা দেওয়ার কার্যক্রম।
এরপর টিকার বুস্টার ডোজ গ্রহণ করেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এবিএম খুরশীদ আলম, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন, আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। এছাড়াও পুলিশ সদস্য সুলতান বুস্টার ডোজ গ্রহণ করেন।
ডোজ কার্যক্রমের উদ্বোধনের পর স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, বুস্টার ডোজ সংক্রান্ত সুরক্ষা অ্যাপের আপডেট কাজ ২৮ ডিসেম্বরের আগে সম্ভব নয় বলে জানিয়েছে আইসিটি বিভাগ। তবে এই মুহূর্তে টিকা কার্ডের মাধ্যমে চলবে। পাশাপাশি, স্বাভাবিক টিকা কার্যক্রমও চলমান থাকবে।
সুরক্ষা অ্যাপ আপডেটের পর এসএমএস এর মাধ্যমে জানিয়ে দেওয়া হবে কে কে পাচ্ছেন বুস্টার ডোজ। শুরুতে ফাইজারের বুস্টার ডোজ দেওয়া হবে বলে জানালেন মন্ত্রী। এরপর মডার্নাও দেওয়া হবে।
এর আগে স্বাস্থ্যমন্ত্রী শুক্রবার জানিয়েছিলেন যে, এ মুহূর্তে সরকারের হাতে প্রায় পৌনে পাঁচ কোটি টিকা আছে।