রবিবার সকালে ২২ আরোহী নিয়ে নিখোঁজ হওয়া নেপালের বিমানটির সন্ধান পাওয়া গেছে।
দ্য হিমালয়ান টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পাইলটের ফোন ট্র্যাক করে জানা গেছে, বিমানটি নেপালের মুস্তাং জেলার লেটে এলাকায় রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, উড়োজাহাজটি সেখানেই বিধ্বস্ত হয়েছে।
ইয়েতি এয়ারলাইনসের মুখপাত্র সুদর্শন বারতৌলা জানান, নেপালি টেলিকম কোম্পানির সাহায্যে নিখোঁজ উড়োজাহাজটির পাইলট প্রভাকর ঘিমিরের মোবাইল ট্র্যাক করা হয়েছে। মোবাইলের অবস্থানের ভিত্তিতে উড়োজাহাজটি মুস্তাং জেলার লেটে এলাকার আশপাশে কোথাও রয়েছে বলে জানা গেছে।
এদিকে এয়ারলাইন সংস্থাগুলো ধারণা করছে, বিমানটি দুর্ঘটনায় পড়েছে। যেহেতু অনুসন্ধানী দল এখনও ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে পারেনি, তারা সেখানে গেলে বিস্তারিত জানা যাবে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি বলছে, বেসরকারি মালিকানার এই উড়োজাহাজটি পর্যটন নগরী পোখারা থেকে জমসমে যাচ্ছিল। বিমানটিতে মোট ২২ জন আরোহী ছিলেন। সকাল ৯টা ৫৫ মিনিট নাগাদ সেটি টেক অফ করে। কিন্ত এর কিছুক্ষণের মধ্যেই মাঝ আকাশে বিমানটির সঙ্গে নিয়ন্ত্রণ কক্ষের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। নিখোঁজ বিমানটি তারা এয়ারের ৯ এনএইটি টুইন-ইঞ্জিনের ছিল বলে জানিয়েছে এনডিটিভি।
নেপালের সরকারি কর্মকর্তা নেত্র প্রসাদ শর্মা সংবাদ সংস্থা এএনআইকে জানিয়েছেন, বিমানটি মুস্তাং জেলার জমসমের আকাশে দেখা যায়। পরে ধৌলাগিরি পর্বতের দিকে অবস্থানের পর যোগাযোগ করা যায়নি।
বিমানটির যাত্রীদের মধ্যে ৪ জন ভারতীয়, ৩ জন জাপানি ও বাকিরা সবাই নেপালের নাগরিক বলে দেশটির রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের খবরে বলা হয়েছে। উদ্ধারকাজে নেপালের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ইতিমধ্যে একাধিক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। মুসতাং ও পোখরায় হেলিকপ্টার পাঠানো হয়েছে।
এর আগেও হিমালয় কন্যা নেপালে বড় ধরনের বিমান দুর্ঘটনার ঘটেছে। পাহাড়ের কোল ঘেঁষা হওয়ায় ও পরিবর্তনশীল আবহাওয়া কারণে মাঝে মাঝে দেশটিতে বিমান নিখোঁজের ঘটনা ঘটে।