দেশের ৮টি বিভাগের ২০টি শহরে পরিষেবা চালু করেছে রাইড শেয়ারিং অ্যাপ উবার। মঙ্গলবার থেকেই উবারের সেবা নিতে পারবেন ব্যবহারকারীরা।
বর্তমানে ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, সিলেট, বগুড়া, বাগেরহাট, বরিশাল, রংপুর, ময়মনসিংহ, যশোর, কুমিল্লা, মৌলভীবাজার, নীলফামারী, শ্রীমঙ্গল, ফেনী, দিনাজপুর, খুলনা এবং কক্সবাজারে উবারের সেবা চালু আছে।
এছাড়া, পুরো দেশজুড়ে একটি বাটনে চাপের মাধ্যমে সহজেই রাইডশেয়ারিং সুবিধা প্রদানের উদ্দেশ্যে সম্প্রতি উনিশ ও বিশতম শহর, গাজীপুর ও নাটোরে মটো সেবা চালু করেছে উবার। এখন ২০টি শহরের প্রতিটিতেই উবার মটো চালু আছে, উবারএক্স চালু আছে ৫টি শহরে, উবার প্রিমিয়ার ১টি শহরে, উবার সিএনজি ৩টি শহরে, রেন্টাল ৩টি শহরে, ইন্টারসিটি ৪টি শহরে এবং উবারএক্সএল চালু আছে ২টি শহরে।
উবারের বাংলাদেশ ও পূর্ব ভারত প্রধান মোঃ আরমানুর রহমান বলেন, “বাংলাদেশ জুড়ে ২০টি শহরে সেবা সম্প্রসারণ করতে পেরে আমরা অত্যন্ত আনন্দিত। এর মাধ্যমে যাত্রী ও চালক সবাই আমাদের সেবা গ্রহণ করতে পারছেন। উবারের কাছে কমিউনিটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমরা গর্বিত যে, সাড়ে পাঁচ বছরের কিছু বেশি সময়ের মধ্যে এসব শহরের মানুষদের জীবনে আমরা ছাপ ফেলতে পেরেছি। গ্রাহকদের যাতায়াতের চাহিদা পূরণে দ্বিগুণ উদ্যমে কাজ করার লক্ষ্য নিয়ে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। এজন্য বাজারে কোন পণ্যের প্রয়োজনীয়তা বেশি, সে বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করছি আমরা। আমাদের যাত্রা সবে শুরু হচ্ছে। সামনের বছরগুলোতে আরও অনেক মাইলফলকের অর্জন উদযাপনের ব্যাপারে আমরা আশাবাদী।”
সম্প্রতি চালকদের জন্য বেশ কিছু নতুন ফিচারও চালু করেছে উবার। এসব ফিচার তাদের সুচিন্তিত সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করবে। চালক ও যাত্রী উভয়ের হতাশা দূর করতে উবার এখন আগে থেকেই চালকদের ট্রিপের গন্তব্য দেখায়। এর ফলে চালকরা গন্তব্য দেখে ট্রিপ গ্রহণ করতে পারেন। এটি ট্রিপ শুরু হওয়ার আগে চালকদের ভাড়া পরিশোধের পদ্ধতিও (নগদ বা অনলাইন) দেখায়। ফলে চালকরা নিজেদের পছন্দমতো শুধু নগদ টাকা দিয়ে ভাড়া পরিশোধ করা হবে এমন রাইড বেছে নিতে পারেন। এসব নতুন ফিচার চালু হওয়ার ফলে, রাইড ক্যান্সেলেশন নিয়ে চালক ও যাত্রীদের দীর্ঘদিনের করা অভিযোগের পরিমাণ কমে আসছে।