দেশে করোনা পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হওয়ায় সরাসরি ব্যাংক থেকে পরিষেবা নেওয়া বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে ইন্টারনেট ব্যাংকিং ও কার্ডভিত্তিক লেনদেন কিছুটা কমে গেছে।
করোনা মহামারীর সময় ব্যাংকে লেনদেনের সময়সীমা কমানো হয়েছিল। এছাড়া ঝুঁকি এড়াতে মানুষ অনলাইন পরিষেবাকে বেছে নিয়েছিল। তবে আস্তে আস্তে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ায় জুলাইয়ের তুলনায় আগস্টে কার্ডে লেনদেন কমেছে ৩ শতাংশের বেশি। বাংলাদেশ ব্যাংকের ইস্যুড কার্ড এন্ড ট্রানসেকশান স্ট্যাটিস্টিকস থেকে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলছে, জুলাইয়ে ডেবিট, ক্রেডিট ও প্রিপেইড কার্ডের মাধ্যমে লেনদেন হয়েছে ২৩ হাজার ৬৬০ কোটি টাকা। আগস্টে যা কমে দাঁড়িয়েছে ২২ হাজার ৯৫৮ কোটি টাকা। জুলাই মাসে ডেবিট কার্ডের মাধ্যমে ২১ হাজার ৭৮৩ কোটি টাকা, আগস্টে তা কমে দাঁড়িয়েছে ২০ হাজার ৯৩৪ কোটি টাকা।
অন্যদিকে, আগস্টে ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে ১ হাজার ৬৭৪ কোটি টাকার লেনদেন হয়, জুলাইয়ে যার পরিমাণ ছিল ১ হাজার ৪৮৬ কোটি টাকা। আর প্রিপেইড কার্ডে লেনদেন জুলাইয়ের তুলনায় আগস্টে ৪৭ কোটি টাকা কমেছে।
শুধু তাই নয় বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসের (এমএফএস) মাধ্যমে লেনদেনের সংখ্যা আগস্টে ৬% এর বেশি কমেছে। যদিও কোভিড-১৯ মহামারির মধ্যে গত বছর অনেক নতুন গ্রাহক যুক্ত হয়েছিল।
আগস্ট মাসের এমএফএস তথ্য অনুযায়ী, জুলাই মাসে এমএফএস লেনদেনের পরিমাণ ছিল ৬৬ হাজার ৩৮৭ কোটি টাকা। আগস্টে যা ৪ হাজার ১৫৩ টাকা কমে ৬২ হাজার ২৩০ কোটি টাকায় এসে দাঁড়িয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংক জানিয়েছে, চলতি বছরের আগস্ট পর্যন্ত ব্যাংকগুলোর ইস্যু করা মোট কার্ডের সংখ্যা প্রায় দুই কোটি ৬৬ লাখ ৩৩ হাজার। আগের বছরের একই মাসে ইস্যু করা মোট কার্ড ছিল দুই কোটি ২২ লাখ ৭ হাজার ৮৩৩টি। অর্থাৎ এক বছরে কার্ড বেড়েছে ৪৩ লাখ ৫৪ হাজার।
গ্রাহকরা বিভিন্ন ব্যাংকের কার্ড ব্যবহার করে এটিএম বুথ থেকে টাকা তুলতে, পয়েন্ট অব সেলসে কেনাকাটা এবং বিল পরিশোধ, ক্যাশ রিসাইক্লিং মেশিনে টাকা জমা বা উত্তোলন করে থাকেন। অনেকে আবার এই কার্ড দিয়ে ই-কমার্সে কেনাকাটার বিভিন্ন বিল পরিশোধ করেন।