ইংরেজি নতুন বছরে হার মানবে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস এমনটাই প্রত্যাশা করছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) মহাপরিচালক তেদ্রোস আধানম গেব্রিয়েসুস। বিশ্ববাসীকে ইংরেজি নতুন বছরের এক শুভেচ্ছাবার্তায় এমন আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
ডব্লিউএইচও মহাপরিচালক বলেন, ‘মহামারিকে নিয়ন্ত্রণ করতে হলে অবশ্যই দেশগুলোকে ‘সংকীর্ণ জাতীয়তাবাদ’ ও টিকা মজুত করে রাখার প্রবণতা থেকে বেরোতে হবে। সংক্রমণ রোধে দেশগুলো যদি সত্যিই আন্তরিক হয় এবং টিকা বন্টনের ক্ষত্রে অসমতা দূর করা যায় তাহলে ২০২২ সালের মধ্যেই মহামারির অবসান ঘটানো সম্ভব।’
এ সময় এই মহামারিকে বিদায় জানাতে সবার আগে বিশ্বজুড়ে টিকা বণ্টনে সমতা প্রয়োজন বলেও জানান তিনি।
ডব্লিউএইচও মহাপরিচালক বলেন, ‘এখন এই মহামারির সঙ্গে লড়াই করার জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যক হাতিয়ার মানুষের কাছে রয়েছে। মহামারির বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত আমাদের হাতে থাকা সবচেয়ে কার্যকর হাতিয়ার হলো টিকা। কিন্তু সংকীর্ণ জাতীয়তাবাদ ও টিকা মজুত করার প্রবণতার কারণে বিশ্বজুড়ে করোনা টিকা বণ্টনে অসমতা সৃষ্টি হয়েছে এবং এটি দিনকে দিন বাড়ছে।’
‘টিকা বণ্টনের অসমতাই ওমিক্রনসহ নিত্যনতুন ভাইরাসের আগমনের পরিবেশ তৈরি করেছে এবং এই অসমতা যদি দীর্ঘস্থায়ী হয়, সেক্ষেত্রে অদূর ভবিষ্যতে মহামারি যে রূপ নেবে- তা আমাদের পক্ষে কল্পনা করাও কঠিন।’-বলেন আধানম গেব্রিয়েসুস।
জুলাইয়ের আগে বিশ্বের ৭০ শতাংশ মানুষকে টিকার আওতায় আনতে পরিকল্পনার কথাও শুভেচ্ছাবার্তায় জানান ডব্লিউএইচও প্রধান নির্বাহী ।
২০২২ সালে নতুন লক্ষ্য স্থির করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। এ বছরের জুলাই মাস শেষের আগেই বিশ্বের সব দেশের ৭০ শতাংশ মানুষকে করোনা টিকার আওতায় আনা হবে বলে পরিকল্পনা রয়েছে ডব্লিউএইচওর।