নারায়ণগঞ্জ শহরে একটি ফ্ল্যাট বাড়িতে বিস্ফোরণে দুই পরিবারের ১১ জন দগ্ধ হয়েছেন সাথে তিন মাসের একটি শিশুও আছে । বিস্ফোরণে তৃতীয় তলার ফ্ল্যাটের দুটি দেয়াল উড়ে গিয়ে পাশের ভবনের ছাদে পড়েছে, ভেঙে গেছে ভবনের দরজা-জানালার কাচ।
গ্যাসের চুলার লিকেজে জমে থাকা গ্যাস থেকে এ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে বলে প্রথমিক ভাবে ধারনা করছে ফায়ার সার্ভিস। তারা বলছেন চুলা জ্বালাতে অথবা বিদ্যুতের সুইচ অন করতে গিয়ে এই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে।
২৩ এপ্রিল শুক্রবার সকালে নারায়ণগঞ্জের পশ্চিম তল্লার জামাইবাজার এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
শিশুটিসহ বিস্ফোরণে দগ্ধদের মধ্যে পাঁচজনকে গুরুতর অবস্থায় রাজধানীর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে। আন্যদের নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আহত লোকজনের বেশির ভাগই পোশাক কারখানার শ্রমিক।
ভবনটিতে বিস্ফোরণের পর এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। ওই ফ্ল্যাট ও পাশের ভবনের লোকজন আতঙ্কে রাস্তায় নেমে আসেন। আগুনের তাপে সবগুলো ফ্ল্যাটের দরজা ও জানালা ভেঙে গেছে। এই ঘটনায় বিদ্যুৎ ও গ্যাসের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দা ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, শুক্রবার সকাল ছয়টার দিকে শহরের পশ্চিম তল্লা এলাকার আল আমিনের মালিকানাধীন তিন তলা ভবনের তৃতীয় তলার বাম পাশের ফ্ল্যাটে বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে। বিস্ফোরণে ওই ফ্ল্যাটের তৃতীয় তলার ফ্ল্যাটের দুটি কক্ষের পুরো দেয়াল উড়ে গেছে এবং রান্নাঘর ও বাথরুমের দুটি দেয়াল মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ ছাড়া ভবনের অন্যান্য ফ্ল্যাটের দেয়াল, জানালা ও রুমের থাই ভেঙে গেছে।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক জানান, বিস্ফোরণে দগ্ধ তিন মাসের শিশুসহ ৫ জনকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে। এদের মধ্যে আলেয়া বেগম নামের এক নারীর শরীরের বেশির ভাগ অংশ পুড়ে গেছে। অন্যদের অবস্থাও আশঙ্কাজনক।