বিশ্বব্যাপী সার্ভার ডাউন হওয়ার প্রায় ৬ ঘণ্টা পরে সচল হলো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ ও ইনস্টাগ্রাম। বাংলাদেশ সময় সোমবার ( ৪ অক্টোবর) রাত সোয়া ৯টা থেকে মধ্যরাত সাড়ে ৩টা পর্যন্ত জনপ্রিয় এই যোগাযোগমাধ্যমগুলোতে বার্তা আদান–প্রদান বন্ধ হয়েছিল। আর এতে করে বিশ্বজুড়ে লাখো ব্যবহারকারী বিপাকে পড়েন। ফেসবুকের ইতিহাসে এটাই কোনো বড় আউটেজ।
মঙ্গলবার (৫ অক্টোবর) ভোর সাড়ে চারটার দিকে এক টুইটবার্তায় সার্ভার সচল হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ।
বিবিসির প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, এক টুইটবার্তায় ফেসবুক তাদের সার্ভার জটিলতার কারণে ক্ষতিগ্রস্তদের কাছে ক্ষমা চেয়েছে। এর প্রধান প্রযুক্তি কর্মকর্তা মাইক শ্রোফার টুইটে বলেন, ‘ফেসবুকের শতভাগ পরিষেবা পেতে আরও কিছু সময় লাগতে পারে।‘
এর আগেও ফেসবুক ডাউন থাকার ঘটনা ঘটেছে। তবে তা বিশেষ কিছু লোকেশন কিংবা কিছু কিছু দেশের ক্ষেত্রে। ২০১৯ সালে সার্ভার জটিলতার কারণে ফেসবুক এবং এর অন্যান্য অ্যাপ বিশ্বজুড়ে ১৪ ঘণ্টারও বেশি সময় ব্যবহার করা যায়নি।
কিন্তু, এবারই প্রথম এই ধরনের ঘটনা ঘটল, যেখানে ফেসবুকের হেডকোয়ার্টারেও সব সেবা বন্ধ ছিল। এমনকি, ফেসবুকের কর্মীরা যারা অনলাইনে ওয়ার্কপ্লেসে কাজ করেন, তারাও ওই সময়টিতে লগইন হতে পারেননি।
এই ঘটনা কেন ঘটেছে, সে বিষয়ে ফেসবুক ইঞ্জিনিয়ারিং টিম থেকে নির্দিষ্টভাবে এখনো কোনো কারণ বলা না হলেও তারা ছোট্ট একটি ব্যাখ্যা দিয়ে বলেছে, ‘নেটওয়ার্ক রাউটিং সিস্টেম কনফিগারেশনে তারা কিছু পরিবর্তন পেয়েছে। যে কারণে মুল সার্ভারের সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়।‘
তবে অনলাইন নেটওয়ার্ক বিশেষজ্ঞরা ধারণা করছেন, ফেসবুকের ডিএনএস বা ডোমেন পদ্ধতির ত্রুটির জন্য এ ঘটনা ঘটতে পারে।
এদিকে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ ও ইনস্টাগ্রাম ব্যবহার ব্যাহত হওয়ার জন্য দুঃখপ্রকাশ করেছেন মার্ক জাকারবার্গ। তিনি বলেন, ‘আজকের এই বিভ্রাটের জন্য আমি দুঃখিত।’
https://www.facebook.com/zuck/posts/10113957526871061
বর্তমানে ফেসবুকের মাসিক সক্রিয় ব্যবহারকারী ২৯০ কোটি। অর্থাৎ বিশ্বজুড়ে এই পরিমাণ অ্যাকাউন্ট থেকে মাসে একবার হলেও সামাজিকমাধ্যমটিতে লগইন করা হয়। এই ব্যবহারকারীদের মধ্যে বাংলাদেশে চার কোটি ৮০ লাখের বাস। অপরদিকে, বিশ্বব্যাপী হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করছেন ১২০ কোটি মানুষ।