যুক্তি ছাড়া জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানো হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) আয়োজনে রবিবার (৭ আগস্ট) বিকেলে রাজধানীর একটি হোটেলে বন্ড ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের বন্ড লাইসেন্স অ্যাপ্লিকেশন মডিউলের উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী এ কথা বলেন। অর্থমন্ত্রী এতে প্রধান অতিথি ছিলেন।
হঠাৎ জ্বালানি তেলের এত বেশি পরিমাণ মূল্যবৃদ্ধির যৌক্তিকতা কী—এমন প্রশ্নে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘আশপাশের দেশগুলোর কী অবস্থা? এখানে যে দাম বাড়ানো হয়েছে, তা যুক্তি (লজিক) ছাড়া বাড়ানো হয়নি। বারবার বলছি, দাম বাড়ানোর সময় জনগণের প্রতি আমাদের লক্ষ্য থাকে। কতটুকু সহ্য করতে পারবে মানুষ, এটা বিবেচনায় থাকে।’
তবে যুক্তিগুলো কী, তা আর উল্লেখ করেননি অর্থমন্ত্রী। শুক্রবার রাতে প্রজ্ঞাপন জারির পর দুই দিনে জিনিসপত্রের দাম ও বাসভাড়া নতুন করে বেড়ে গেছে।
অর্থমন্ত্রী আশ্বাস দিয়ে বলেন, ‘আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের দাম কমলে দেশে ভোক্তারাও তাঁর সুফল পাবেন। সারা বিশ্বে এখন দাম কমে আসছে। সব জায়গায় কমা শুরু হয়েছে। আমরাও কম দামে কেনা শুরু করেছি। এগুলো যখন দেশে এসে পৌঁছাবে, তখন চাপ থাকবে না। আমি মনে করি দেশের ভোক্তারা কম দামে জ্বালানি তেল ব্যবহার করতে পারবেন।’
জ্বালানি তেলের দামের হ্রাস-বৃদ্ধির জন্য স্বয়ংক্রিয় মূল্য নির্ধারণ ব্যবস্থা চালু করা হবে কি-না, জানতে চাইলে মুস্তফা কামাল বলেন, ‘এ মুহূর্তে সেটা বলতে পারব না। তবে আমরা এলপিজি গ্যাসের মূল্য স্বয়ংক্রিয়ভাবে নির্ধারণ করছি। জ্বালানি তেলের ক্ষেত্রেও আস্তে আস্তে তা চালু হবে।’
অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, সরকারের সাম্প্রতিক সিদ্ধান্তে মানুষের কষ্ট হচ্ছে ঠিকই। কিন্তু দীর্ঘমেয়াদি ভালোর জন্য মাঝে মাঝে কষ্ট করতে হয়।